১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যে ইমরানের কাছে খুব বেদনাদায়ক, রাজনৈতিক জীবনে একাধিক সাক্ষাৎকারে সেই কথা তুলে ধরেছিলেন পিটিআই প্রধান। ফের একবার সেই ৭১-এর প্রসঙ্গ টেনে পাকিস্তানকে সতর্ক করলেন সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেনের কথায়, পাকিস্তানের সামনে বিপদের ঘণ্টি বাজছে। পূর্ব পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবারও। বর্তমান শাসক জোটকে পাকিস্তানি সেনাকে তাঁর দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক করে দেন ইমরান। এক ভিডিয়ো বার্তায় ৭০ বছর বয়সি রাজনীতিবিদ অভিযোগ করেন, তাঁর বাসভবন পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে ইমরান খানের বাড়িতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে।ইমরান খান ফের একবার নির্বাচনের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, 'বর্তমানে পাকিস্তানে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তা খতম করার একমাত্র রাস্তা হল নির্বাচন।' ইমরান খান বলেন, 'পলাতক নওয়াজ শরিফ এবং পিডিএম নেতাদের কিছুতেই কিছু যায় আসে না। পাকিস্তানের সংবিধান লঙ্ঘন হোক, দেশের সংস্থার নাম খারাপ হোক কি সেনার বদনাম হোক, তাদের কিছু যায় আসে না। তারা নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবছে। তারা ভাবছে কীভাবে পাকিস্তানকে লুঠ করা যায়।' এরপর ইমরান আরও বলেন, 'আমি খুব ভয়ঙ্কর একটা স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি। আমার দেশ বিপদের দিকে এগিয়ে চলেছে। আমি সকল শক্তির কাছেই আবেদন করতে চাই যে নির্বাচন করানো হোক। তাতে এই দেশ রক্ষা পাবে।'এদিকে গত ৯ মে নিজের গ্রেফতারি ইস্যুতে ইমরান খান অভিযোগ করেন, শাসক জোটের ষড়যন্ত্রেই এমনটা হয়েছে। ইমরান খান বলেন, 'গদিতে বসে থাকা নেতাদের ভাবার সময় এসেছে। তারা যদি মাথা ঠান্ডা করে না ভাবে তাহলে পূর্ব পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে আবার।' এদিকে ইমরান খান আরও দাবি করেন, তিনি আদতে সেনা বিরোধী নন। তিনি বলেন, 'সিএনএন, বিবিসির মতো আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা যখন আমাকে আমাদের সেনাকে নিয়ে প্রশ্ন করেছে আমি তখন সব সময়ই তাদের হয়ে কথা বলেছি। আন্তর্জাতিক স্তরে আমাদের সেনাকে বদনাম করার এক বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তবে আমি সবসময় আন্তর্জাতিক মহলে সেনার হয়ে কথা বলেছি। আমি এই সব সংবমাধ্যমে সেনার পক্ষ নিয়ে যতটা কথা বলেছি, ততটা আর কেউ বলেনি।' এরপর ইমরান খান বলেন, 'আমি যদি এখন সেনার সমালোচনা করিও, তাহলে ভাববে হবে আমি আমার নিজের সন্তানকে শাসন করছি। আমি বারবার বলে এসেছি যে আমি সেনা প্রতিষ্ঠানের মামলায় নাক গলাই না। যখন আমি নিশ্চিত রিপোর্ট হাতে পেয়েছিলাম যে প্রাক্তন সেনা প্রধান আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তখনও আমি হস্তক্ষেপ করিনি সেনার কার্যকলাপে। এখনও কিছু রাজনৈতিক নেতারা বর্তমান সেনা প্রধানকে বলেছেন যে আমি ক্ষমতায় ফিরলে তাঁকে নাকি পদ থেকে সরিয়ে দেব।'