টানা ১৮ মাস ধরে মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন স্ত্রী। প্রশ্ন করতেই বলছে🍨ন, তাঁর স্বামী কোমায় ছিলেন। এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের কানপুরের। সেখানে এক আয়কর অফিসারের মৃত্যু হয় ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। তারপর থেকে তাঁর মৃতদেহ আগলে একই ঘরে থাকতেন তাღঁর স্ত্রী। এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ওই মৃতব্যক্তির নাম বিমলেশ দীক্ষিত। স্ত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তিনি ওই মৃতদেহে প্রতি সকালে উঠে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিতেন। তাঁর আশা ছিল এভাবে তিনি তাঁর স্বামীকে বাঁচিয়ে তুলতে পারবেন। জানা গিয়েছে, গত বছরের এপ্রিলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁকে কিছুতেই দাহ করতে চাইছিল না তাঁর পরিবার। এরপর শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি দল আসে বিমলেশ দীক্ষিতের বাড়িতে। কারণ বিমলেশ অফিসে আসছেন না বলে, তার আগে স্বাস্থ্য দফতরকে জানায় আয়কর দফতর। আয়কর দফতর জানায় যে বিমলেশ কেন অফিসে আসছেন না, বা তাঁর শরীর সুস্থ রয়েছে কি না তার খোঁজ নিতে। আর বিমলেশের বাড়িতে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় স্বাস্থ্যকর্মীদের। তখনই জানা যায়, গোটা ঘটনা। এই স্টেশনে পিক আপ আর 🍌ড্রপ করতে ৬ মিনিটের বেশি সময় লাগলেই খসবে ট্যাঁকের কড়ি!
জানা যায়, শুক্রবার কানপুরের রাওয়াতপুর এলাকায় এই ঘটনার কথা জানাজানি হয়। মুহূর্তে পৌঁছয় পুলি𒈔শের টিম। এরপর ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটও সেখানে পৌঁছে যান। এদিকে, পরিবারকে এই নিয়ে প্রশ্ন করলে, তারা বলে, বিমলেশ দীক্ষিত বহুদিন ধরꦆে কোমায় ছিলেন। তাই জনই তাঁরা কিছু জানাননি অফিসকে। এরপর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে বিমলেশ দীক্ষিতকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতিবেশীরা বলছেন, তাঁরা দেখেছেন যে বিমলেশ দীক্ষিতের পরিবার প্রায়ই বাড়িতে অক্সিজেম সিলিন্ডার নিয়ে যেতেন। তবে প্রতিবেশীরা সেই সময় এর কারণ বুঝতে পারেননি।