নারী সংরক্ষণ বিল নিয়ে আজ সংসদে ফের আলোচনা শুরু হল। কংগ্রেসের তরফে আজ এই ইস্যুতে প্রধান বক্তা হিসেবে নিজের বক্তব্য পেশ করতে ওঠেন সোনিয়া গান্ধী। প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী আজ সংসদের নিম্নকক্ষে জানিয়ে দেন, তা🎐ঁ𝐆র দল কংগ্রেস নারী সংরক্ষণ বিলকে সমর্থন করবে। এর আগে গতকালই এই বিল প্রসঙ্গে সোনিয়া সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, 'এটা আমাদেরই বিল।'
সোনিয়া আজ বলেন, 'কংগ্রেস এই বিলকে সমর্থন করে। বিলটি পাস হওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু আমরা এই নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাই। ভারতীয় মহিলারা গত ১৩ বছর ধরে তাদের রাজনৈতিক দায়িত্বের জন্য অপেক্ষা করছেন। এখন তাদের আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে বলা হচ𝓀্ছে। কত বছর? ভারতীয় মহিলাদের সাথে এই আচরণ কি উপযুক্ত? কংগ্রেস দাবি করেছে যে বিলটি অবিলম্বে কার্যকর করা হোক। সঙ্গে জাতিশুমারিও করা উচিত এবং এসসি, এসটি এবং ওবিসি মহিলাদের সংরক্ষণের 🅰ব্যবস্থা করা উচিত।'
উল্লেখ্য, গতকালই নয়া সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধী নেতাদের দাবি, ২০২৪ সালের ভোটের বৈতরণী পার করতে মহিলা সংরক্ষণের হাওয়া তুলতে চাইছে মোদী সরকার। তাঁদের অভিযোগ, স্রেফ ভোটের ফায়দা লুটতে ২০২৪ সালের ভোটের আগে তড়িঘড়ি বিল আনল মোদী সরকার। আদতে ২০২৪ সালে সেই সংরক্ষণের নিয়ম কার্যকর সম্ভব নয়। বিলের পাঁচ নম্বর ধারা উল্লেখ ধরে আম আদমি পার্টির (আপ) নেত্রী তথা দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতিশি দাবি করেন, মহিলা সংরক্ষণ বিলের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী জনগণনা এবং আসন 😼পুনর্বিন্যাসের আগে সং🥂রক্ষণের নিয়ম কার্যকর সম্ভব নয়। অর্থাৎ ২০২৪ সালের নির্বাচনে মহিলারা নয়া বিলের আওতায় সংরক্ষণ পাবেন না।
এদিকে এই অধিবেশন শুরুর আগে থেকেই বিরোধীরা একযোগে দাবি তুলেছিল যাতে সংসদের এই বিশেষ অধিবেশনে নারী সংরক্ষণ বিল পাশ করানো হয়। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই বিল পেশ হলে তারা তা সমর্থন করবেন। এদিকে বিশেষ অধিবেশনের জন্য তালিকাভুক্ত বিলগুলির মধ্যে ছিল না নারী সংরক্ষণ বিলের উল্লেখ। তবে গত সোমবার বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনের পর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের বৈঠক বসে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মদীর নেতৃত্বে সেই🤪 বিলটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিল অনুযায়ী, লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ৩৩ শতাংশ আসন। এদিকে তফশিলি জাতি বা তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির মধ্যেও একতৃতীয়াংশ সংরক্ষিত থাকবে SC বা ST নারীদের জন্য। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে এই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল। তবে তখন ꧅তা আর লোকসভায় পেশ করা হয়নি। এদিকে এই বিলটি𒀰 আইনে কার্যকর হওয়ার ১৫ বছর পর তা বিলুপ্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল বিলটি পেশ হওয়ার পর সংসদে মোদী বলেন, 'নতুন সংসদ ভবনের ঐতিহাসিক ভাবে পথ চলা শুরু করল আজ। এই উপলক্ষে সংসদের প্রথম কার্যক্রম হিসেবে নারী শক্তির প্রবেশদ্বার উন্মোচনকারী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকার। নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের আমাদের সংকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান সংশোধনী বিল আনছে। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় মহিলাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই বিলটি তৈরি করা হয়েছে। 'নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম' আমাদের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে।' প্রধানমন্ত্রী এরপর বলেন, 'মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। অটল বিহারী বাজপেয়ীর শাসনামলে মহিলা সংরক্ষণ বিল বেশ কয়েকবার উত্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু বিলটি পাশ করার জন্য যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না এবং এর কারণে এই স্বপ্ন অসম্পূর্ণ থেকেౠ যায়। আজ, ঈশ্বর আমাকে এটিকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন... আমাদের সরকার আজ উভয় কক্ষে মহিলাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি নতুন বিল আনছে।'