সংসদের বিশেষ অধিবেশন নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ার দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভার সবচেয়ে বয়স্ক সদস্য এবং সর্বকনিষ্ঠ সদস্যের নাম উল্লেখ করলেন তার ভাষণে। বয়জেষ্ঠ্য সদস্য হলেন ৯৩ বছরের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ শফিকুর রহমান। আর অন্যদিকে সর্বকনিষ্ঠ সদ্যস হলেন বিজু জনতা দলের (বিজেডি) ৩০ বছর বয়সী চন্দ্রানী মুর্মু। উল্লেখ্য চন্দ্রানী মুর্মু ২৫ বছর বয়সে এমপি হন।প্রধানমন্ত্রী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিআই) নেতা ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত’র কথাও এদিন বলেন। ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত ১৯৬০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৬ বছর লোকসভার সাংসদ হিসাবে কাজ করেছিলেন।লোকসভার বর্তমান সাংসদ শফিকুর রহমান সব মিলিয়ে ৯ বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রথম উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে ১৯৯৬ সালে লোকসভার সদস্য হন। এর আগে চারবার বিধায়ক হিসেবেও জিতেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, শফিকুর রহমান বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন বরাবরই। ২০১৯ সালে, শফিকুর রহমান তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সংসদ ভবনে ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দিতে অস্বীকার করার পরে বিতর্কে জড়ান।সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ চন্দ্রানী মুর্মু ওড়িশার কেওনঝার থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন। তিনিই বর্তমানে সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় সংসদ সদস্য। তার অন্য একটি পরিচয় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ হরিহরন সোরেনের মেয়ে। এছাড়াও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি রয়েছে তার। লোকসভার সাংসদদের মধ্যে সিপিআই সাংসদ ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত সবচেয়ে লম্বা ইনিংসের মালিক। ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত ১৯৬০ সালে একটি উপনির্বাচনে জিতে প্রথমবার লোকসভায় পা রাখেন। তারপরে, ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সময়পর্ব বাদে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমৃত্যু লোকসভার সদস্য ছিলেন।তিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত কলকাতার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ থেকে সিপিআই সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত আলিপুরের সাংসদ হিসাবে এবং তারপর ১৯৮০-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত বসিরহাটের সাংসদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপরে তিনি ১৯৮৯ সালে মেদিনীপুর থেকে লড়াই করেন এবং ফের জয়ী হন।