Uttarakhand MLA fight: কার্যালয়ে ঢুকে গুলি প্রাক্তন বিধায়কের, পালটা বন্দুক উঁচিয়ে ছুটলেন বর্তমান MLA

দীর্ঘদিনের বিবাদ। তার জেরে বর্তমান বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে গুলি চালালেন বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক। আর পালটা বদলা নিতে বর্তমান বিধায়কও বন্দুক উঁচিয়ে ছুটে গেলেন প্রাক্তনের দিকে। এমনই ঘটনা ঘটল উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে। প্রজাতন্ত্র দিবসে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। ঘটনার দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করার পর অনেকেই সেটা সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। আরও পড়ুন: প্রাক্তন-বর্তমান TMC কাউন্সিলরের মারামারি, থামাতে গিয়ে হাতাহাতি অনুগামীদেরজানা গিয়েছে, বিজেপির প্রাক্তন বিধায়কের প্রণব সিং চ্যাম্পিয়ন এবং নির্দল বিধায়ক উমেশ কুমারের মধ্যে এদিন এই দৃশ্য দেখা যায়। প্রণব খানপুর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। উমেশ হলেন খানপুর কেন্দ্রের বর্তমান নির্দল বিধায়ক। অভিযোগ, ওই বিজেপি নেতা চ্যাম্পিয়ন বর্তমান নির্দল বিধায়ক উমেশ কুমারের অফিসে পৌঁছে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছেন। এর ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হচ্ছে। তাতে দেখা গিয়েছে গুলি চালানোর পর উমেশ কুমারও পালটা বন্দুক নিয়ে চ্যাম্পিয়নের পিছনে দৌড়ে যান। তবে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই তর্কাতর্কি চলছিল সোশ্যাল মাধ্যমে। এরপর উমেশ কুমার ফেসবুক লাইভে চ্যাম্পিয়নকে তাঁর বাড়িতে আসার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এরপরে রবিবার চ্যাম্পিয়ন তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে উমেশ কুমারের অফিসে পৌঁছে গুলি চালান।জানা যাচ্ছে, শনিবার থেকে উমেশ কুমার এবং চ্যাম্পিয়নের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তর্কাতর্কি চলছিল। অভিযোগ, চ্যাম্পিয়ন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় খানপুরের বিধায়ক সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর মা ও বোনকে গালিগালাজ করেছিলেন। গভীর রাতে, বিধায়ক উমেশ কুমারও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে গিয়ে বিজেপি নেতাকে পালটা আক্রমণ করেছিলেন।এর পরে, তিনি বিজেপি নেতাকে অফিসে ও বাড়িতে আসার চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, যে তিনি যদি পুরুষ হন তবে তিনি যেন তাঁর বাসভবনে আসেন। তিনি চ্যাম্পিয়নকে তাঁর মা ও বোনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করারও অভিযোগ তোলেন।গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। রাস্তায় উপস্থিত লোকজনকে এদিক ওদিক দৌড়াতে শুরু করেন। ঘটনার পরপরই বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এই ঘটনায় দেরাদুন পুলিশ চ্যাম্পিয়নকে গ্রেফতার করে হরিদ্বার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। গ্রেফতারের পর তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ ভ্যানে যাওয়ার সময় চ্যাম্পিয়ন বলেন, ‘আমার সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে।’ এদিকে, সোমবার সকালে বিধায়ক উমেশ কুমারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়ন উত্তরাখণ্ডের খানপুর থেকে ৪ বারের বিধায়ক হয়েছেন। তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন।