ভারত পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা ইস্যুতে সদ্য একটিꦕ প্রস্তাব এসেছে সিন্ধুর ওপার থেকে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কিছু শক্ত সাপেক্ষে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসার কথা বলেছেন। সেই বার্তার জবাব দিয়ে দিল্লি সাফ জানিয়েছে, স্বাভাবিক ছন্দে দুই প্রতিবেশীর আলোচনায় বসার জন্য সন্ত্রাসমুক্ত ও হিংসামুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, আলআরবিয়া চ্যানেলের সঙ্গে সদ্য এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান, ভারতের সঙ্গে গত ৩ টি যুদ্ধে শিক্ষা পেয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, পাকিস্তান চায় 'শান্তিতে থাকতে',তবে সেক♏্ষেত্রে 'আসল সমস্যাগুলির' সমাধান করে তবেই ওই শান্তি কাম্য, বলে বার্তা এসেছে ইসলামাবাদ থেকে। একধাপ এগিয়ে শাহবাজ শরিফ চেয়েছেন যাতে আরব আমিরশাহি তাদের সাহায্য করে ভারতের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে। এই প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, আলোচনা শুধুমাত্র সন্ত্রাস ও হিংসাহীন পরিস্থিতিতেই সম্ভব। অরিন্দম বাগচি বলেন,'আমরা বলেছি, পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা সবসময় স্বাভাবিক প্রতিবেশীর সম্পর্ক চাই। তবে এমন একটি অনুকূল পরিবেশ থাকতে হবে যেখানে কোনও সন্ত্রাস, শত্রুতা বা হিংস্রতা থাকবে না। এটাই আমাদের অবস্থান।' এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ওই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের পরই কূটনীতির আঙিনায় কার্যত নড়েচড়ে বসে ইসলামাবাদ। সেখানে পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, 'সমঝোতা সম্ভব নয়' যতক্ষণ না জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ২০১৯ এর পদক্ষেপ অবলুপ্তি হচ্ছে। শাহবাজ শরিফের দফতর জানিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের রেজোলিউশন অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে। এছাড়াও সামনে রাখতে হবে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছাকে। সাক্ষাৎকারে শাহবাজ শরিফ বলেছেন, 'ভারতীয় নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদীর)প্রতি আমার বার্তা হল, আসুন আমরা আলোচনার টেবিলে বসি আর কাশ্মীরের মতো আমাদের জ্বলন্ত সমস্যা সমাধানের জন্য গুরুতর এবং আন্তরিক আলোচনা করি, যেখানে দিন দিন মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন ঘটছে।'
এদিকে, দিল্লি সাফ জানিয়েছে, ২০০৮ সালে যেভাবে মুম্বই হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে তারপর পাকিস্তান যেভাবে কোনও সন্ত্রাস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রেক্ষাপটে আলোচনা অসম্ভব। বারবার দিল্লি এই ইস্যুতে পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে বলেছে যাতে সন্ত্রাসমুক্ত ও হিংসামুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। উল্লেখ্য়, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় ভারতের সেনা কনভয়ে পাকিস্তান আশ্রিত জঙ্গিরা যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তাতে তারপর ভারত নানান প্রমাণ তুলে ধরে সেই ঘটনা জইশ-এ-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতির। তবে তারপরও কিছুতেই পাকিস্তান সন্ত্রাসের বি🀅রুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়াও পঞ্জাবের এক মহিলার ভিসা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে পাকিস্তানের হাইকমিশনের কিছু অফিসারের🐟 বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ নিয়ে পাকিস্তানকে দিল্লি কড়া বার্তা দেয়। যার জবাবে তদন্তের আশ্বাস দিলেও ইসলামাবাদ কোনও পোক্ত পদক্ষেপ এখনও নেয়নি। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিল্লি আলোচনা প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান আরও একবার জানান দিয়ে দিয়েছে।