নিজেদের সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করল🎉েও কতজন মারা গিয়েছেন, সে বিষয়ে মুখ খোলেনি চিন। তবে সূত্র উদ্ধৃত করে সಞংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের ঘটনায় চিনা সেনায় হতাহতের সংখ্যা ৪৩। তাঁদের মধ্যে মৃত এবং গুরুতর আহত সেনাও রয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় ಞচিনা সেনার সঙ্গে 'হিংসাত্মক হাতাহাতি'-তে প্রাণ হারিয়েছেন তিন ভারতীয় জওয়ান। পরে রাতের দিকে জানানো হয়, প্রবল ঠান্ডায় মারা গিয়েছেন আরও ১৭ জন ভারতীয় জওয়ান।
তবে গালওয়ান সংঘর্ষের দায় কার, তা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর চাপানউতোর চলে। দুপুর𓆏ের দিকে সংঘর্ষের যাবতীয় দায় ভারতের উপর চাপিয়ে দেয় চিন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান দাবি করেন, 'সীমান্ত পরিস্থিতির (পড়ুন উত্তেজনা) কমানোর জন্য আমাদের সীমান্ত বাহিনী উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিল এবং ঐক্যমতে পৌ💯ঁছেছিল। কিন্তু বিস্ময়করভাবে গত ১৫ জুন ভারতীয় বাহিনী গুরুতরভাবে আমাদের ঐক্যমতকে লঙ্ঘন করে এবং অবৈধ কাজকর্মের জন্য দু'বার সীমান্তরেখা অতিক্রম করে এবং চিনা জওয়ানদের প্ররোচিত করে এবং আক্রমণ চালায়। তার ফলে দু'পক্ষের মধ্যে গুরুতর শারীরিক দ্বন্দ্ব হয়।'
চিনের সেই দাবি উড়িয়ে দেয় ভারত। বিদেশ মন্ত্রকেের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জ🔥ানান, সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়ে দু'দেশের সেনার মধ্যে কথা চলছিল। সেইমতো গত ৬ জুন সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মেনে চলার একমত হয়েছিল দু'পক্ষ। কিন্তু তা লঙ্ঘন করেছে চিন সেনা। তারা একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অবস্থান বদলাতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। নয়াদিল্লির তরফে সাফ জানানো হয়, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে ভারত বদ্ধপরিকর। বিবাদ সমাধানের জন্য আলোচনায় আগ্রহী। সেজন্য ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না।
তারইমধ্যে রাতের দিকে সেনার তরফে জানানো হয়, গালওয়ান উপত্যকায় যেখানে সংঘর্ষ হয়েছিল, সেখানে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে গিয়েছে ভারত এবং চিন সেনা। একইসঙ্গে দেশের 💟সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বজায় রাখতে ভারতীয় সেনা বদ্ধপরিকর বলে জানানো হয়েছে।