২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রভাব আরও স্পষ্ট হবে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ার মতো ধনী G20 দেশগুলির অর্থনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। ইউরো-মেডিটারিয়ান সেন্টার অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (CMCC)-এর একটি নতুন রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধান এবং গমের ফলন হ্রাস পাবে। ২০৫০ সালের মধ্যে এটি ৪৩ থেকে ৮১ বিলিয়ন ইউরো (যা কিনা GDP-র ১.৮-৩.৪%) আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।আগামী ৩০ এবং ৩১ অক্টোবর রোমে G20 শীর্ষ সম্মেলন। তার দুই দিন আগে আসা এই রিপোর্ট বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০৫০ সালের মধ্যে গড় তাপমাত্রা ১.৩-২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বাড়তে পারে। ২০৩৬ থেকে ২০৬৫ সালের মধ্যে, ভারতে উষ্ণতম মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।খাতায় কলমে এই তাপমাত্রার অঙ্ক সামান্য মনে হতেই পারে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক জলস্তর বৃদ্ধি, ধান-গমের ফলনের নিরিখে এর প্রভাব মারাত্মক।২০৫০ সাল নাগাদ বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৮% থেকে ১৯.৩% বৃদ্ধির পেতে পারে। এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুধু কৃষি উত্পাদনেই যে পড়বে, এমনটা নয়। মাছ ধরার পরিমাণও ২০৫০ সালের মধ্যে ৮.৮% থেকে ১৭.১% কমতে পারে।“G20-র মধ্যে, ভারত তার শক্তি সেক্টরের রূপান্তরের(কম দূষণের বিকল্প) প্রক্রিয়ায় পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে, 'এফিসিয়েন্সি' কম্পোজিট শর্তে,' অ্যাটলাসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।গবেষণা বলছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং তীব্র তাপ তরঙ্গে মারাত্মক খরা এবং দাবানল হতে পারে। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ায় তাপপ্রবাহ ২০৫০ সাল নাগাদ প্রায় ৬০ গুণ বেশি স্থায়ী হতে পারে। সেই সঙ্গে সমস্ত G20 দেশে তাপপ্রবাহ কমপক্ষে ১০ গুণ বেশি স্থায়ী হতে পারে।অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল, উপকূলীয় বন্যা এবং হারিকেনের ফলে দেশগুলি তীব্র আর্থিক ধাক্কা খেতে পারে। এমনটাই বলছে CMCC।