রবিবার সকাল ৭টৈ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জারি থাকবে জনতা কার্ফু।ভারতে এই মুহূর্তে সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে। দেশ যাতে এরপরের তৃতীয় পর্যায়ে- যখন সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়, তাতে না পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে নিরলস পরিশ্রম করছেন প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।জনতা কার্ফু চলাকালীন ওষুধের দোকান ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবাকেন্দ্রগুলি ছাড়া বন্ধ থাকবে দোকান, বাজার, অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ জনসমাগমের প্রতিটি স্থান।করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে রাজ্যের বাইরে থেকে আসা সমস্ত ট্রেন বন্ধ করার আবেদন রেল বোর্ডের কাছে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কার্ফু চলাকালীন বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেন। শুধুমাত্র যে ট্রেনগুলি নির্ধারিত সময়ের আগে রওনা দিয়েছে, সেগুলিকে গন্তব্যে পৌঁছতে দেওয়া হবে।জনতা কার্ফু জারি থাকাকালীন শহরতলিতে যাতায়াতকারী লোকাল ট্রেনের সংখ্যা নগণ্য থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সীমিত সংখ্যায় চালু থাকবে কলকাতা মেট্রোরেল পরিষেবাও।শনিবার মধ্যরাত থেকে রাজ্য থেকে ছাড়ছে না কোনও দূরপাল্লার বাস। রাজ্যে কোনও দূরপাল্লার বাস ঢুকতেও দেওয়া হবে না এই সময়ে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভিনরাজ্য থেকে আসা বাসের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজ্য প্রশাসন।শনিবার থেকেই রাজ্যের সমস্ত পানশালা, রেস্তোরাঁ, ম্যাসাজ পার্লার, মিউজিয়াম, প্রদর্শনশালা, চিড়িয়াখানা, সভাস্থল-সহ প্রকাশ্য সমাগমস্থানগুলি বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। জনতা কার্ফু চলাকালীন বাইরে থেকে খাবার আনতেও নিষেধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।রবিবার বিকেল ৫.০৫ মিনিটে হাততালি, থালা ও ঘণ্টা বাজিয়ে যাঁরা করোনা সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করছেন, সেই সমস্ত কর্মীদের ঝুঁকি মাথায় নিয়েও নিরলস পরিশ্রমের প্রতি সম্মান জানাতে দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়েছেন নমো।