💎 জলপথ নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সন্ত্রাস দমন সহ একগুচ্ছ ক্ষেত্রে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছে ভারত ও মালয়েশিয়া। এই প্রথম ভারত ও মালয়েশিয়া 'সিকিউরিটি ডায়লগ’ আয়োজিত হয়। আর তার জন্য দিল্লিতে আসেন মালয়েশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডিরেক্টর জেনারেল রাজা দাতো নুশিরওয়ান বিন জয়নাল আবিদিন। তাঁর সঙ্গে এদিন বৈঠকে বসেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। আর সেই বৈঠকেই সাইবার নিরাপত্তা, জলপথ নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস মোকাবিলা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
♏কিছুদিন আগেই দিল্লি এসেছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তারপরই দুই দেশের মধ্যে প্রথম 'সিকিউরিটি ডায়লগ’ আয়োজিত হল। প্রসঙ্গত, উভয় পক্ষ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিবেশ নিয়ে আলেচনা করেছে এবং নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও সামুদ্রিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করেছে।উল্লেখ্য়, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দাপুটে গতির মাঝে মালয়েশিয়া ও ভারতের মধ্যে জলপথ নিরাপত্তা নিয়ে সমঝোতা নিঃসন্দেহে একটি তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক বার্তা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,' উভয় পক্ষ সন্ত্রাস দমন, কট্টরবাদ সরিয়ে ফেলা, সাইবার নিরাপত্ত, প্রতিরক্ষা ইন্ডাস্ট্রি এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা গভীর করতে একমত হয়েছে।' খুব গুরত্বপূর্ণভাবে এই বৈঠকে দুর্লভ প্রাকৃতিক সম্পদ ও খণিজ সম্পদ অনুসন্ধানে ভারত ও মালয়েশিয়ার আলোচনা হয়েছে, বলেও খবর। বার্ষিকভাবে এই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতেও দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে।
💦প্রসঙ্গত, গত বছরের অগস্টে ভারতে এসেছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনয়োর। সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করার পাশাপাশি, আনোয়ার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ভারত ও মালয়েশিয়া, দুই পক্ষ সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে আন্তঃ-কার্যক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, প্রক্রিয়া এবং যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা গড়ে তুলেছে। এদিকে, মালয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের আমলে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্কের শীতলতা এসেছিল, তাকে কাটিয়ে ফেলার রাস্তা হিসাবে সম্প্রতি আনোয়ারের দিল্লি সফরকে দেখা হচ্ছিল। প্রসঙ্গত, মহাথির এর আগে, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির সমালোচনায় মুখর হন। বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখেনি দিল্লি। তারপরই সেদেশের তরফে মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্কে পুরনো উষ্ণতা ফিরে আনতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। তারপরই এল এই নয়া পদক্ষেপ। আনোয়ারের সফরের সময় দুই পক্ষ ডিজিটালাইজেশন, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছিল। স্বাক্ষরিত হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ মৌ।