ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল চিনা সেনা। কিন্তু পালটা জবাব দিয়েছে ভারত। নাগপুর থেকে একটি ভার্চুয়াল সভায় একথা বললেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা নীতিন গডকড়ি।তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত নয়। একদিক দিয়ে চিন আমাদের সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পালটা জবাব দিয়েছি। যদি কেউ আমাদের সীমান্তে এসে আমাদের ভখণ্ড জবরদখল করতে চায়, আমরা যোগ্য জবাব দেব। আমরা দেশের আরও ক্ষমতায়ন করব এবং শক্তিশালী করব যাতে কেউ যেন আমাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে।’পশ্চিম মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতাকর্মীদের সেই ভার্চুয়াল সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক সংস্কার করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু ভারত কারোর উপর হামলা চালাতে চায় না। শুধু নিজেদের সুরক্ষায় ভারতকে তৈরি থাকতে হবে। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, প্রাক্তন অটলবিহারী বাজপেয়ীর শাসনকাল থেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছে নয়াদিল্লি। নেপালের নয়া মানচিত্র বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য না করলেও গডকড়ি বলেন, 'ভারত সাম্রাজ্যবাদী নয়। ভুটানের মতো ছোটো দেশের থেকেও ভারত কখনও এক টুকরোও জমি নেওয়ার চেষ্টা করেনি। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য লড়েছিল ভারত। কিন্তু আমরা ওদের ভূখণ্ড দখল করিনি। আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি, সেখানে সরকার গঠন নিশ্চিত করেছি এবং আমরা ফিরে এসেছি।'অন্য দেশের ভূখণ্ডে ভাগ না বসালেও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর, গিলগিট বালটিস্তান এবং আকসাই চিনের প্রশ্নে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন গডকড়ির সহকর্মী তথা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ে আরএসএসের মুখপত্রের ওয়েবমিনারে মাধব বলেন, ‘নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ভারত। আমরা শান্তি চাই, কবরস্থান নয়। (ওই এলাকায়) আমরা প্রায় ৬০ টি রাস্তা নির্মাণ করেছি এবং আমাদের কাজ চলবে। আমরা দাবি শুধু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নয়, আমাদের দাবি তার বেশি। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার পর নয়া মানচিত্রে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর, গিলগিট বালটিস্তান এবং আকসাই চিন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আমরা আকসাই চিনের দাবিতে অনড় এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দাবিতেও আমাদের অনড় থাকতে হবে।’