ইউনুসকে কয়েক সপ্তাহ আগে মোদী নিজে সতর্ক করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। তারপরে অবশ্য ঢাকার তরফ থেকে পালটা বিবৃতি দিয়ে ওয়াকফ ইস্যুতে সুর চড়াতে শোনা যায়। এরই মাঝে সম্প্রতি বাংলাদেশে এক ভয়াবহ কাণ্ডে হত্যা করা হয়েছে হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়কে। এই আবহে দিল্লির তরফ থেকে ঢাকাকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। কার্যত ধমকের সুরেই ইউনুসের সরকারকে তাঁদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেয় দিল্লি। (আরও পড়ুন: ৫০ মিটার দূরে চলছে ওয়াকফ 🐽প্রতিবাদ, মন্দির পাহারায় ফুরফুরার পীরজাদা)
আরও পড়ুন: কানাডায় 'গ্যাং ওয়ারের' বলি ভারতীয় ছাত্রী, অঘোরে প্রাণ গেল বছর একুশ♛ের তরুণ🎐ীর
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে এই নিয়ে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ড আমাদের মর্মাহত করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের আরও একটি নমুনা এই হত্যাকাণ্ড। যদিও পূর্ববর্তী এই ধরনের ঘটনার অপরাধীরা দায়মুক্তির সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আবারও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে তারা যেন অজুহাত না দেখিয়ে বা ভেদাভেদ না করে হিন্দু সহ সকল সংখ্যালঘ✅ুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে।'
আরও পড়ুন: 'পুলিশ বাঁচাতে পারবে না', মুর্শিদাবাদে গিয়ে শুনলেন রাজ্যপা🌜ল, জবাবে বোস বললেন...
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন নিহত ভবেশ। বছর ৫৮-র প্রৌঢ়কে গত ১৭ এপ্রিল খুন করা হয়েছিল। সেদিন রাত ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও মৃতের পরিবারকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিল বিকেলে ভবেশকে বাড়ি থেকে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। ভবেশের রায়ের স্ত্রী সান্ত্বনা জানান, ১৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ একটি ফোন আসে এবং অপরাধীরা নিশ্চিত করে যে তিনি বাড়িতেই আছেন কি না। জানা গিয়েছে, সেই ফোনের প্রায় ৩০ মিনিট পর দু'টি মোটরসাইকেলে করে চারজন লোক এসে ভবেশকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপরে ভবেশ রায়কে নরবাড়ি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নাকি উন্মত্ত মৌলবাদী জনতা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। পরে ভবেশকে উদ্ধার করে দিনাজপুর হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। (আরও পড়ুন: আমেরিকায় খলিস্তানি জঙ্গি গ্রেফতার হতেই পর্দা ফাঁস প𓂃াক ISI-এর! কী বলল FBI?)
আরও পড়ুন: অসমের পঞ্চায়েত ভোট💫ে বিজেপির জয়জয়কার, বিধানসভা ভোটের আগে 'গ্রাম দখল' হিম𒈔ন্তের?
ভবেশ রায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। বিরল ⛄থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সবুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শিগগিরই এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে। এদিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পুলিশ আধিকারিক জানান, আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে।