আসিয়ানের মঞ্চ থেকে নাম না করে চিনকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন রাজনাথ সিং। সাফ জানালেন, প্রত্যেক দেশের সার্বভৌমত্ম, অখণ্ডতা, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান এবং আন্তর্জাতিক আইন পালনের মাধ্যমে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত এবং বাধাহীন রাখতে চায় ভারত। সেইসঙ্গে নাম না করে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাব নিয়েও বার্তা দেন তিনি।বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আসিয়ান অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে (এডিএমএম-প্লাস) বৈঠক থেকে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে সুরক্ষা সংক্রান্ত যে উদ্বেগ আছে, তা তুলে ধরেন রাজনাথ। যে বৈঠকে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত ১০ টি দেশ এবং ভারত, চিন, অস্ট্রেলিয়া-সহ আট সহযোগী দেশ থাকে। সেই বৈঠকে দক্ষিণ চিন সাগর-সহ আন্তর্জাতিক জলপথে চলাফেরার স্বাধীনতা এবং নির্বিঘ্নে বাণিজ্য নিশ্চিত করার যে প্রয়োজনীয়তা আছে, তার উপরও জোর দেন রাজনাথ। তিনি জানান, রাষ্ট্রসংঘের আইন-সহ যাবতীয় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই আলোচনা করা হবে বলে আশাবাদী ভারত। সেইসঙ্গে কোনও দেশের আইন-স্বীকৃত অধিকার এবং স্বার্থ বিঘ্নিত হবে না বলেও আশাপ্রকাশ করছে নয়াদিল্লি।দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিং যে আগ্রাসী মনোভাব দেখায়, নাম না করে সে বিষয়টি টেনে আনেন রাজনাথ। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক শান্তি এবং সুরক্ষার ক্ষেত্রে নয়া চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পুরানো উপায়ে সেগুলি মেটানো যাবে না। রাজনাথ বলেন, ‘সামুদ্রিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি ভারতের কাছে উদ্বেগের একটি বিষয়। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি, স্থিরাবস্থা, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক মাধ্যমে যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘সেদিক দিয়ে দক্ষিণ চিন সাগর শুধুমাত্র ওই এলাকা নয়, তার বাইরের এলাকারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই আন্তর্জাতিক জলপথে চলাফেরার স্বাধীনতা, উড়ান এবং নির্বিঘ্নে বাণিজ্যের সমর্থন করছে ভারত।’সেইসঙ্গে বুধবার রাজনাথ সাফ জানিয়ে দেন, বিশ্বব্যাপী শান্তির পথে সবথেকে বড় অন্তরায় বা সবথেকে গুরুতর বিপদ হল সন্ত্রাস এবং উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করার মন্ত্র। তাই সুরক্ষিত এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্বের জন্য সবাইকে একত্রিতভাবে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার ডাক দেন রাজনাথ।