আগামী ডিসেম্বরের আগেই ভারতের প্রত্যেকের টিকাকরণ হয়ে যাবে। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়াইনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধীর ‘নাটক’-এর অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।শুক্রবার বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা দাবি করেন, ইতিমধ্যে ২০ কোটি টিকা প্রদান করেছে ভারত। তার ফলে টিকা প্রদানের নিরিখে বিশ্বের মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থানে আছে। সেইসঙ্গে নীতি আয়োগ এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল বলেছিলেন, 'ভারতীয়দের জন্য পাঁচ মাসে (অগস্ট থেকে ডিসেম্বর) দেশে ২০০ কোটির বেশি ডোজ তৈরি করা হবে। আমরা যত সামনের দিকে এগিয়ে যাব, তত আমাদের টিকার প্রাপ্যতা বাড়বে।' দাবি করেছিলেন, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন-সহ দেশীয় টিকার মাধ্যমেই ২০০ কোটি ডোজের লক্ষ্যমাত্রা পার হওয়া যাবে। সম্ভাব্য যে ২১৬ কোটি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন হবে যথাক্রমে ৭৫ কোটি এবং ৫৫ কোটি ডোজ ধরা হয়েছে। বায়ো ই, জাইডাস ক্যাডিলা, নোভাভ্যাক্স, ভারত বায়োটেকের নাসাল টিকা এবং জেনোভার এমআরএ টিকার যথাক্রমে ৩০ কোটি, পাঁচ কোটি, ২০ কোটি, ১০ কোটি এবং ছ'কোটি ডোজ তৈরির পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি'র ১৫.৬ কোটি ডোজ আছে। যা ভারতেই তৈরি হবে।শুক্রবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল অভিযোগ করেন, ‘ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ হল প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদীর) নাটক। উনি করোনাভাইরাসের বিষয়ে কিছু বোঝেন না। ভারতে মৃত্যুর হার নিয়ে মিথ্যা বলা হচ্ছে। সরকারের সত্যি কথা উচিত।’ সেইসঙ্গে টিকাকরণের হার নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুল অভিযোগ করেন, টিকাকরণের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হল যে কোনও নীতি নেই। কৌশলগতভাবে ভাবনাচিন্তা করেন না মোদী। উনি হলেন 'ইভেন্ট ম্যানেজার'। একবারে একটি 'ইভেন্ট' নিয়ে ভাবেন। কিন্তু এখন দেশে কোনও 'ইভেন্ট'-এর প্রয়োজন নেই। তাতে মানুষের মৃত্যু হবে। পালটা জাভড়েকর বলেন, ‘রাহল গান্ধী যদি টিকাকরণের হার নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কোটার টিকা পাওয়া সত্ত্বেও ওই রাজ্যগুলি ১৮-৪৪ বছরের মধ্যে ঠিকভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি চালাতে পারেনি।’