ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাস♕িন্দাদের জন্য সুখবর। এবার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সীমান্ত হাটের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। তবে এই প্রথম নয়, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য মেনেই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত হাটের প্রচলন। নতুন করে এই♌ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক এবং দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রক। গত মে মাসই এই ব্যাপারে দিল্লি এবং ঢাকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে ভারত এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক লেনদেন সম্পর্কের আলোচনাতেও এই বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এই প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ‘হাটে আসা যাওয়ার প্রশ্নে সীমান্তবাসীদের ভিসা পাসপোর্ট-এর ক্ষেত্রে কী ꩲভাবে এবং কতটা শৈথিল্য দেখানো হবে, তা নিয়ে 📖দুই দেশের আলোচনা চলছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর ভারতের মাটিতে ১৬ টি সীমান্ত হাটের কথা ভাবা হয়েছে। ৮টি এই রাজ্যের মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, দক্ষিণ এবং উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং কুচবিহারে গড়ে ওঠার কথা।' কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনার পর রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্তের সিলমোহর পড়বে।
দুই দেশের সীমান্তের বেশিভাগ অঞ্চলে💫ই কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে,൩ কোথাও বা রয়েছে নদীর বিভাজিকা। দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এই হাট নির্মিত হলে চোরাচালানকারীদের দৌরাত্মও খানিকটা রাস টানা যাবে বলে মনে করছেন দুই দেশের শীর্ষকর্তারা। নতুন সীমান্ত হাটগুলো স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে আলোচনা চলছে। এসব সীমান্ত হাট মিজোরাম ও পশ্চিমবঙ্গে স্থাপন করা হবে। নতুন সীমান্ত হাট সীমান্তের উভয় পাশে অবৈধ বাণিজ্য কমানোর পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য বাজারে প্রবেশ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ আরও উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাট বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সীমান্ত বাণিজ꧂্য বাজার। এটি একটি বাজারের জায়গা যা সপ্তাহে এক দিন বা দু'দিন চালু থাকে। এটি কেবল শুধুমাত্র দৈনন্দিন পণ্য কেনার জন্য নয় বরং উভয় পক্ষের পরিবারের জন্য পুনর্মিলনের একটি স্থান। সীমান্ত হাটগুলিতে বাণিজ্য ভারতীয় রুপি / বাংলাদেশ টাকায় এবং বস্তু বিনিময়ের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং এই ধরনের🔜 তথ্য সংশ্লিষ্ট সীমান্ত হাটের হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়।