রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে জড়িয়ে পড়বেন না- ভারতীয়দের এমনই পরামর্শ দিল নয়াদিল্লি। আর সেই পরামর্শ এমন একটা সময় দেওয়া হল, যখন একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে রাশিয়ার সেনায় সহায়কের কাজ পাওয়া কয়েকজন ভারতীয়কে রুশ সৈন্যদের🍨 সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াꦬই করতে বাধ্য করা হয়েছে। ইউক্রেনের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় 'সুরক্ষা সংক্রান্ত সহায়ক' হিসেবে নেওয়া ওই ভারতীয়দের যুদ্ধ করতে হচ্ছে বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক স্বীকার করে নিয়েছে যে সহায়ক হিসেবে রাশিয়ার সেনায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন 'কয়েকজন' ভারতীয়। দ্রুত তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছে মস্কোয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।
শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে ভারতীয় ဣবিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক ভারতীয়কে সতর্কতা অবলম্বন করে চলা এবং এই সংঘাত থেকে দূরে থাকার আর্জি জানাচ্ছি।’ তবে সেই বিবৃতিতে সরাসরি ইউক্রেনের নাম করা হয়নি। উল্লেখ্য, খারকিভ, মারিউপোলের মতো রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় এখনও ভারতীয় আটকে আছেন বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। কয়েকটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে যে হতাহতের ভারতীয়দের নামও আছে। যদিও সেই বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। নয়াদিল্লি সেরকম কিছু জানায়নি। মস্কোর তরফেও আপাতত কোনও মন্তব্য আসেনি
সম্প্রতি ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়ে হায়দরাবাদের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি আর্জি জানান যে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুꦕদ্ধের মধ্যে যে ভারতীয়রা আটকে পড়েছে꧋ন, তাঁদের যেন দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। একই আর্জি জানানো হয় কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের তরফে। যে ভারতীয়দের অনেকেই কর্ণাটক, তেলাঙ্গানা, জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে দাবি করা হয়েছে।
কর্ণাটকের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়গে দাবি করেন যে এজেন্টদের মাধ্যমে ওই ভারতীয়দের রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁদের রাশিয়ান সেনায় নিযুক্ত করেছিল ওয়েগনার গ্রুপ। যা আদতে ভ্লাদিমির পুতিনদের ভাড়াটে সৈন্য। একাধিক মহলের দাবি, ইউক♐্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় রাশিয়াকে সহায়তা করেছিল ওয়েগনার গ্রুপ। পরবর্তীতে সেই গোষ্ঠীর ইয়েভজেনি প্রিগোজিনই পুতিনের গদি উলটে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। মস্কো দখলের চেষ্টা করেছিলেন। তবে মস্কো আসার আগে মত পালটে ফেলেছিলেন।