সম্প্রতি আমেরিকায় একের পর এক ভারতীয় ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরফলে চলতি বছরেই একাধিক ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আবার অনেককে অপহরণ করা হয়েছে। সেই ঘটনা নিয়ে⭕ এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি আমেরিকায় পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের আরও সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা অবলম্বন করতে বলেছেন। 🐓এছাড়াও ভারতীয় ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের আমেরিকায়⛦ ভারত🌌ীয় ছাত্রের মৃত্যু, মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল বাঙালি শিল্পীরও
একটি সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ভারতীয় পড়ুয়াদের বন্ধুদের সꦯঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও, ক্যাম্পাসে যে সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলির যথোপযুক্ত ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। গারসেটি বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি যারা যাদের সন্তানরা আক্🎶রান্ত হয়েছেন। এতে আমি ব্যথিত। এই ঘটনা কারও সঙ্গে হওয়া উচিত নয়।’ তিনি জানান, এই সমস্ত ঘটনায় অবশ্যই ন্যায়বিচার করা হবে।
তিনি মৃত এবং আক্রান্ত পড়ুয়াদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকার সবরকম ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।অন্যদিকে, ভারতীয় পড়ুয়াদের অবৈধ মাদক থেকে দূরে থা༺কার পরামর্শ দিয়েছেন এরিক।
প্রসঙ্গত,আমেরিকায় প্রতিবছর প্রায় ২,৪৫,০০০ পড়ুয়া পড়াশোনা করতে যায় অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো অন্যান্য দেশের তুলনায় আমেরিকায় কলেজ, শহরগুলিতে নিরাপত্তা বে🐼শি বলেই দাবি করেছেন গারসেটি। তিনি জানিয়🦋েছেন, যে দেশে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
উল্লেখ্য, এবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পৃথক ঘটনায় আমেরিকায় অন্তত ৫ জন ভারতীয় পড়ুয়ারা মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মার্চ মাসেই, ২৫ বছর বয়সী এক ভারতীয় ছাত্র আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে জানা যায় তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তার পরে মুক্তিপণের ফোন পায় ওই ছাত্রের পরিবার। শেষে তারা বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়। হায়দরাবাদের বাসিন্দা ওই ছাত্রের নাম মহম্মদ আবদুল আরাফাত। আ൩ইটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য ২০২৩ সালের মে মাসে তিনি ক্লিভল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু, গত ৭ মার্চ থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তার বাবা মহম্মদ সেলিম জানান, ১০ দিন পর তিনি ফোন পান যে তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এরজন্য ১২০০ মার্কিন ডলার মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।