ইন্দোনেশিয়ার সংসদে মঙ্গলবার নতুন একটি ফৌজদারি বিধি পাস হয়েছ𝔍ে৷ এর মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের অধীনে থাকাকালীন প্রণীত বিধিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ তিন বছরের মধ্যে নতুন এই বিধি কার্যকর হওয়ার কথা৷
ফৌজদারি বিধিতে পরিবর্তন আনার দায়িত্বপ💃্রা🉐প্ত সংসদীয় কমিশনের প্রধান বামবাং উরিয়ান্তো সংসদকে বলেন, ‘পুরনো বিধি ডাচ ঐতিহ্যের অংশ... সেটা এখন প্রাসঙ্গিক নয়৷'
নতুন বিধিতে যা আছে:
- বিয়ে-বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের শাস্তি এক বছর৷ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র দম্পতির একজন, বাবা-মা ও সন্তানদের অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে৷
- বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকা জুটি সর্বোচ্চ ছয় মাসের শাস্তি পেতে পারেন৷
- দেশের প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের ‘সম্মানে আঘাত' করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল হতে পারে৷
- সরকারের অবমাননার শাস্তি সর্বোচ্চ দেড় বছরের কারাদণ্ড৷ আর এই অবমাননা থেকে বিক্ষোভ শুরু হলে শাস্তি বেড়ে তিন বছর হতে পারে৷
- ‘ভুয়ো খবর' ছড়ানোর শাস্তি সর্বোচ্চ ছয় বছরের কারাদণ্ড৷
বিয়ে-বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণে শাস্তির বিধাღন পর্যটন শিল্পে প্রভাব 𒈔ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরা৷ তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বালিতে যাওয়া পর্যটকদের কোনও সমস্যা হবে না৷
এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ফৌজদারি বিধিতে আনা সংশোধনীগুলো রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ৷ এছাড়া এগুলো ইন্দোনেশিয়াকে মৌলবাদের দিকে ঠেলে দেবে﷽, যেখানে সংবিধানে🐟 ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা আছে৷
ইন্দোনেশিয়ার আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াসোনা লা🤪ওলি সংসদকে বলেন, ‘আমরা সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও ভিন্ন মত বিবেচনায় নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি৷ তবে পেনাল কোডের সংশোধনী এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ঔপনিবেশিক ফৌজদারি বিধি ত্যাগ বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখন৷'
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে।ဣ সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)