বিচার বিভাগের উপ🦂র তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, ন্যায়বিচার হবেই। একথা বললেন ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং আইআইএসসি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ক্রিস গোপাল🍎কৃষ্ণন। তাঁর এবং আরও ১৭ জনের বিরুদ্ধে, তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (আইআইএসসি) এক প্রাক্তন অধ্যাপক মামলা রুজু করার পর বিচার বিভাগের প্রতি এই আস্থা প্রকাশ করেন গোপালকৃষ্ণন।
এই বিষয়ে যেসমস্তℱ আইনি প্রক্রিয়া এবং আদালতের শুনানি চলছে, তার প্রেক্ষিতে ক্রিস গোপালকৃষ্ণন বলেন, কর্ণাটক হাইকোর্ট তাঁর এবং অন্যদের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে পরবর্তী সমস্ত তদন্ত এবং কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে।
এ নিয়ে গোপালকৃষ্ণন বলেন, 'যেহেতু বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই আমি আর কোনও মন্তব্য করব না। তবে, বিচার বিভাগের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং আমি বিশ্বাস কর⭕ি যে ন্যায়বিচার 🍨প্রতিষ্ঠিত হবেই।'
তিনি আরও বলেন, এই গোটা ঘটনায় তিনি গভীরভাবে ব্যথিত। কারণ, দেশ𒈔ের ও সমাজের প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলিকে রক্ষা করার জন্য যে আইন তৈরি করা হয়েছে, সেই আইনই তাঁরꦕ বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি সবসময় ন্যায্যভাবে চলায়, ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করি এবং প্রত্যেকের সঙ্গেই সম্মান-সহ আচরণ করি। তাঁদের পরিচয় কী, সেসব কখনও এক্ষেত্রে বিচার করি না। আমি গভীরভাবে ব্যথিত। কারণ, প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলিকে রক্ষা করার জন্য তৈরি করা একটি আইন আ⛎মার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য অপব্যবহার করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সাল থেকে তিনি কাউন𒉰্সিলের চেয়ারম্যান হি♛সাবে আইআইএসসি-র সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কিন্তু, যে অভিযোগগুলি করা হয়েছে, সেই ঘটনাগুলি ২০১৪ সালে ঘটেছে।
এরই সঙ্গে তিনি জানান, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের জন্য আইআইএসসি-র স্পষ্ট নীতি রয়েছ♊ে। যা কার্যনির্বাহী ব্যবস্থাপনার অধীনে পড়ে।
প্রসঙ্গত, ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং আইআইএসসি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ক্রিস গোপালকৃষ্ণন-সহ আরও ১৭ জন ফ্যাকাল্টি সদস্যের বিরুদ্ধে💮 এসসি/এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে মামলা রুজু করা হয়।
ড. সান্না দুর্গাপ্পা নামে এক প্রাক্তন অধ্যাপকের অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ করা হয়। যিনি ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ঘটা কিছু ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয় নিয়ে এই অভিযোগ করেন। সেই বিষ🐓য়টি কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারাধীন।
তাঁর আবেদনে সান্না দুর্গাপ্পা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে একটি মিথ্যা মধুচক্রের মামলায় জড়ানো হয়েছিল। যার ফলে ২০১৪ সা𝐆লে তাঁকে আইআইএসসি থেক𓆏ে বরখাস্ত করা হয়।
তিনি আরও দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট মামলার (তফসিলি জাতি/তফসিলি🅷 উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে রুজু হওয়া) অভিযুক্তরা তাঁর বিরুদ্ধে নৃশংস ষড়যন্ত্র করেছিলেন এবং ২০০৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ ও তাঁকে অপমান করেছিলেন।