আন্তর্জাতিক বন্দর শহর গড়তে চায় গুজরাট সরকার। আর সেই নিরিখে এবার বড় উদ্যোগ। একাধিক জায়গা ইতিমধ্য়েই তারা দেখেছে। অনেকটা রটার্ডাম, দুবাইয়ের আদলে এই শহর গুজরাট সরকার গড়তে চায়। এই বন্দর শ🍌হরে একেবারে আধুনিক সব ব্য়বস্থা থাকবে। টার্মিনাল, ডক, শিল্প কারখানাও থাকবে। সেই সঙ্গেই আবাসন গড়ে তোলা হবে।
গুজরাট মেরিটাইম ক্লাস্টারের সিইও মাধবেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, এটা দেশের অন্য়তম সেরা প্রকল্প হিসাবে গড়ে তোলা হবে। ২৫০-৫০০ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে এই বন্দর শহর থাকবে। এটা এশিয়ার অন্য়তম মডেল পোর্ট সিটি হিসাবে গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পের মাস্টার প꧋্ল্যান হয়ে গিয়েছে। মোটামুটি আগামী বছরে ফেজ ১ এর কাজ করা হবে। জিএমবি এই আন্তর্জাতিক পোর্ট সিটি তৈরি করবে। এই জিএমবি হল গুজরাট সরকারের অন্যতম বড় এজেন্সি। সামুদ্রিক নানা বিষয় নিয়ে তারা প্রকল্প রূপায়িত করে।
মোটামুটিভাবে আপাতত সাতটি জায়গার কথা ভাবা হয়েছে। তার মধ্য়ে পিপাভাও, হাজিরা, ভালসাড়, নার্গোল, পোরবন্দর, আমরেলি,ভাবনগর, কচ্ছ-এই জায়গাগুলিকে মোটামুটিভ👍াবে ভাবা হয়েছে।
গত মাসে গান্ধীনগরে ভাইব্রান্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিট হয়েছিল। সেখানে ভিশন ২০৪৭ এর কথা বলা হয়েছিল।আর সেখানেই এই বন্দর শহরের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এখানে নানা ধরনের অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। বহুমুখী টার্মিনাౠল, জাহাজ তৈরির ব্যবস্থা, জাহাজ মেরামতির ব্যবস্থা করা, ওয়াটার🤪 স্পোর্টস সহ নানা ধরনের ব্যবস্থা থাকবে এখানে।
তবে যে এলাকাগুলির ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার বাইরেও একাধিক জায়গাকে চিহ্নিত করাꦇ হচ্ছে। সেখানেও এই বন্দর শহর তৈরি করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত রটার্ডাম পোর্ট, দুবাই পোর্ট ও আবু ধাবি পোর্টের কর্তারা ভাইব্রান্ট গুজরাট ইনভেস্টরস সামিটে অংশ নিয়েছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আধিকারিকদের মতে, মাস্টার প্ল্যান আর কোন জায়গায় এটা হবে সেটা আগে ঠিক করা হচ্ছে। সেটা ঠিক হয়ে গেলে জিএমবি টেন্ডার ডাকবে। সেই অনুসারে কাজ হবে। তবে এখানে কারা বিনিয়োগ করবে, পরবর্তী পর্যায়ে কী ধরনের ব্যবস্থা এখানে গড়ে উঠবে সেটা ধাপে ধাপে ঠিক হবে। মোটামুটি সেসব করতে আগামী বছর হয়ে যেতে পারে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ এগিয়ে থাকা রাজ্য় হল গুজরাট। আপাতত দেশের জিডিপির ৮.৩ শতাংশ দেয় গুজরাট। তবে গুজꦏরাটের লক্ষ্য হল জাতীয় জিডিপ𒉰ির ১০ শতাংশ দেওয়া।