বিগত দিনে পরপর হামলা চলেছে ভারতগামী একাধিক জাহাজে। এই পরিস্থিতিতে এবার ইরানের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছে আমেরিকা। এই আবহে মুখ খুলল তেহরান। উল্লেখ্য, গতকাল গুজরাট উপকূল থেকে প্রায় ৩৫০ কিমি দূরত্বে একটি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছিল। আমেরিকা দাবি করে, সেই হামলায় যে ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছিল, তা ওড়ানো হয়েছিল ইরান থেকে। এছাড়াও সাম্প্রতিককালে একাধিক ভারতগামী জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি জঙ্গি গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীকে পিছন থেকে সাহায্য করে থাকে ইরান। এই আবহে ইরানের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই সব হামলায় তেহরানের কোনও যোগ নেই। আমেরিকার অভিযোগ ভিত্তিহীন। (আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ার মন্দিরে খলিস্তানি হামল𓄧া নিয়ে ম☂ুখ খুলল US, হাঁটল না 'কানাডার পথে')
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নমাজ আদায়ের সময় মসজিদেই জঙ্গিদের💯 হাতে খুন🌜 অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার
পেন্টাগনের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিককালে ইয়েমেনের 😼হুথিরা ১০০টিরও বেশি ড্রোন উড়িয়ে ১০টি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে গাজার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের লক্ষ্যেই এই সব হামলা। এই আবহে ইরানের মন্ত্রী আলি বাঘেরি বলেন, 'হুথিদের নিজেদের অস্ত্র রয়েছে। তারা নিজেদের ইচ্ছেতেই যা করার করে। সেই ক্ষমতা তাদের রয়েছে। আমেরিকা ও ইজরায়েলের মতো শক্তি এই হামলার শিকার হচ্ছে। তাই এই অঞ্চলে হুথিদের শক্তির বিষয়ে তারা যেন প্রশ্ন না তোলে।'
আরও পড়ুন: আর উইন্ডোজ ১০ ‘সাপোর্ট’ করবে না মাইক্রোসফট💫, জঞ্জালে পরিণত হবে ২৪ কোটি কম্পিউটার
প্রসঙ্গত, গতকালই গুজরাট উপকূলের থেকে কিছুটা দূরে ভারতগামী একটি জাহাজ✱ে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। সেই জাহাজে ২০ জন ভারতীয় ছিলেন। জাহাজটি ছিল লাইবেরিয়ান পতাকাবাহক। এই নিয়ে পেন্টাগনের দাবি, ভারতগামী জাহাজে হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইরানের একটি ড্রোন। রিপোর্ট অনুযায়ী, জাহাজটির নাম - 'কেম প্লুটো'। এই জাহাজটিকে ডাচ একটি সংস্থা পরিচালনা করছে। জানা গিয়েছে, হামলার পর মার্কিন নৌবাহিনী জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এদিকে কেম প্লুটো ট্যাঙ্কার জাহাজে হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌবাহিনী। হামলা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আর গতকালই আরও একটি জাহাজে হামলা চালানো হয় লোহিত সাগরে। জানা গিয়েছে, সেই জাহাজে ছিল অশোধিত জ্বালানি তেল। সেই জাহাজে ২৫ জন ভারতীয় ক্রু ছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবারই লোহিত সাগরে দু'টি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছিল। তার মধ্যে একটি ছিল এই জাহাজটি। এর আগেও লোহিত সাগরে ভারতগামী জাহাজে হুথি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল। সম্প্রতি মালটার পতাকাবাহী 'এমভি রয়েন' নামক একটি জꦿাহাজ সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেই সময় সাহায্যের আর্তি জানিয়েছিল তারা। এই ঘটনাটি ঘটেছিল আরব সাগরে। জꦜাহাজটি ভারতেই আসছিল। সেই জাহাজের আর্তিতে সাড়া দিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী সেখানে গিয়ে পৌঁছায় এবং জলদস্যুদের হামলা বানচাল করে দেয়।
এর আগে তুরস্ক থেকে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করা পণ্যবাহী জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়েছিল লোহিত সাগরে। ইয়েমেনের জঙ্গি গোষ্ঠী হুথি সেই ঘটনার সাথে যুক্ত ছিল। বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৫ জন নাগরিক সেই জাহাজে ছিল। অপহৃত জাহাজটির নাম 'গ্যালাক্সি লিডার'। জাহাজটি ব্রিটিশ কোম্পানির মালিকানꦗাধীন ছিল। এবং এটি পরিচালনা করছিল জাপানের একটি সংস্থা। এদিকে সেই জাহাজটি যে ব্রিটিশ সংস্থার, তার অংশীদার ছিলেন একজন ইজরায়েলি ধনকুবের আব্রাহাম উঙ্গার।