ইরাকের একটি বিল ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। গোটা বিশ্বজুড়ে পড়ে গিয়েছে হইচই। হবে নাই বা কেন, সেই দেশের এই নতুন প্রস্তাবিত বিলে জানানো হয়েছে মেয়েদের বিয়ের বয়স কমিয়ে ৯ আর ছেলের ১৫ বছর করা হবে। আর তারপরই এই বিষয় নিয়♛ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন একাধিক মানবাধিকার গ্রুপ এবং মহিলাদের সংগঠন। তাঁরা গোটা বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্নও বটে।
আরও পড়ুন: কেবল ভাত-মাংস বা সিগারেট ন🥃য়, এই পদ পাতে পেলেই সবথেকে খুশি হতেন বুদ্ধদেব! কী বল🦩ুন তো?
কী বলা হয়েছে ইরাকের সেই প্রস্তাবিত বিলে?
এতদিন পর্যন্ত ইরাকে আইনত বিয়ে করতে গেলে সেখানকার বাসিন্দাদের অন্তত ১৮ বছরের হতে হতো। কিন্তু সম্প্রতি ইরাকের জাস্টিস মিনিস্ট্রির তরফে যে নতুন আইনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে এই দেশের বাসিন্দারা নিজের বেছে নিতে পারবেন যে গাবরা ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করবেন নাকি সিভিল কোর্ট ম্য൩ারেজ করবেন। সেটা মেনে নিলেও সকলে যেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন সেটা হল এই নিয়মের পরিবর্তন হলে আরও একটি জিনিসের বদল হবে মহিলাদের ডিভোর্স নেওয়ার ক্ষেত্রে বা সন্তানের কাস্টডি বা অন্যান্য বিষয়ে যে অধিকার রয়েছে সেগুলো কমিয়ে দেওয়া হবে।
একই সঙ্গে এই আইন পাশ হলে মেয়েদে♌র বিয়ের বয়স কমিয়ে ৯ বছর এবং ছেলেদের ১৫ বছর করা হবে। আর এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। তাঁদের মতে এই আইন পাশ হয়ে গেলে শিশু বিবাহ এবং বাচ্চা মেয়েদের উপর অত্যাচার বাড়বে। সেই কারণেই একাধিক মানবাধিকার সংস্থা এই বিলের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের মতে এতে শিশুদের উপর কুপ্রভাব পড়বে। বিশেষ করে তাঁদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক ভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর পরেও ধনঞ্জয়ের ফাঁসির জন্য বুদ্ধদেবকেই দুষলেন কব๊ীর সুমন! লিখলেন, 'খুব মনে পড়ছে আপনাকে...'
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তরফে জানানো হয়েছে এত অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার অর্থই হল স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়বে, অল্প বয়সে তাঁরা গর্ভবতী হয়ে যেতে পরে এমনকি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে পারে বেশি মাত্রায়। যদিও ইউনিসেফের 🔴তরফে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই ইরাকে ২৮ শতাংশ মেয়েদের ১৮ বছর হওয়ার আগেই এখনও বিয়ে হয়ে যায়। তখন যে সেই পরিমাণ আরও বাড়বে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।