গুজরাটের ভবেশ ভান্ডারী ও তাঁর স্ত্রী এবার সন্ন্যাসের রাস্তায় যেতে চেয়েছেন। জৈন ধর্মমতে বিশ্বাসী এই দম্পতি সেকারণে ধর্মমত মেনে নিজেদের সমস্ত সম্পত্তি, জিনিসপত্র বিলিয়ে দিলেন। গুজরাটের রাস্তায় এক তাবড় মিছিল করে তাঁরা সমস্ত সম্পত্তি বিলিয়ে দি𓆉তে দিতে যান। জৈন তপস্বী হতে চাওয়া এই দম্পতি ‘স্বয়ম জীবন’ পালন করতে চেয়ে ফেব্রুয়ারিতেই নিজেদের সমস্ত কিছু দান করার শপথ নিয়েছেন।
অর্থ দানই শুধু নয়, নিজের সমস্ত সুখ, বিলাসিতাকেও ছেড়ে দিচ্ছেন ভবেশভাই ভান্ডারী। গুজরাটের তাবড় ব্যবসায়ী ভবেশভাই ও তাঁর স্ত্রী বর্তমানে পার্থিব সমস্ত জিনিসের প্রতি সংযোগ থেকেও নিজেদের ছাড়িয়ে আনছেন। তাঁরা সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছেন মোবাইল, এসির মতো সামগ্রীরও। যা কিছু সাংসারিক ও পার্থিব সুখের সঙ্গে জড়িত, তা থেকে নিজেদের বিমুক্ত করে তাঁরা এবার তপস্যার পথে হাཧঁটবেন। জানা যাচ্ছে, তাঁরা এই পথ অনুসরণের আগে সারা ভারতে খালি পায়ে হাঁটবেন। পরিবারের সঙ্গে সমস্ত যোগও তাঁরা ছিন্ন করছেন। শুধু জীবনে ভিক্ষা নিয়ে তাঁরা আগামীর পথ চলবেন। এই বিধি পালন করেই তাঁরা তপস্যার রাস্তা নিচ্ছেন। সব কিছু ছেড়ে দিয়ে, কেবল মাত্র ৩ টি জিনিস তাঁরা নিজেদের সঙ্গে রাখতে পারবেন, তা হল, একটি ভিক্ষাপাত্র, সাদা পোশাক, আর একটি ঝাঁটা। আগামী ২২ তারিখ থেকে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।
গোটা ঘট💖না নিয়ে কেন আলোচনা হচ্ছে? কারণ সদ্য এক সোশ্যাস মিডিয়া পোস্টে ভান্ডারি দম্পতির সম্পত্তি বিতরণের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তা দিয়ে মিছিল করে ওই দম্পতি নিজেদের সম্পত্তি বিলিয়ে দিচ্ছেন। আরও ৩৫ জনের সঙ্গে এই মিছিলে ছিলেন ভান্ডারি দম্পতি। তাঁদের জনতার কাছে আবেদন এই নিয়মানুবর্তী পথে চলার জন্য। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে তাঁদের ১৯ বছরের মেয়ে ও ১৬ বছরের মেয়েও এই একই পথে তপস্যার রাস্তা নেন। এবার সেই পথই অনুসরণ করলেন তাঁদের বাবা মা। এর আগে ২০২৩ সালে এক হিরে ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রী সন্ন্যাস নিয়েছিলেন। তাঁরাও তাঁদের সমস্ত কিছু বিলিয়ে দেন। তার আগে, তাঁদের ছেলেও তপস্যার রাস্তা নিয়েছিল।