হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান ধনপতি জর্জ সোরোস সম্প্রতি দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গৌতম আদানির সুসম্পর্ক রয়েছে। জার্মানির মিউনিখে টেকনিকাল ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গেই হিন্ডেনবার্গ ইস্যুর পেছনে যে রাজনীতি রয়েছে সেটাও কবুল করেছেন সোরোস। এর জেরে অস্বস্তি বাড়ে কংগ্রেসের। এবার সেই আদানি ইস্যুতে সুর আরও জোরালো করল কংগ্রেস। এর সঙ্গেই সোরোসের সঙ্গে দূরত্ব প্রমাণেও মরিয়া কংগ্রেস।কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সুর চড়িয়ে টুইট করেছেন,প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আদানি যোগকে কেন্দ্র করে এই যে কেলেঙ্কারি এতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একটি বিষয় নিহিত রয়েছে। এটা কংগ্রেসের উপরেও নির্ভর করছে। বিরোধী রাজনৈতিক দল ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপরেও বিষয়টি নির্ভর করছে। জর্জ সোরোসের এনিয়ে করার কিছু নেই। আমাদের নেহেরুবাদী উত্তরাধিকারীরাই নিশ্চিত করতে পারবেন। সোরোসের মতো মানুষরা আমাদের ভোটের ফলাফলকে নির্ধারন করতে পারবেন না।তবে ঠিক কী বলেছিলেন সোরোস? তিনি বলেছিলেন, আদানি এন্টারপ্রাইজ স্টক মার্কেট থেকে ফান্ড জোগাড়় করতে চাইছে। কিন্ত তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আদানি স্টকে নানা কারচুপি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাসের ঘরের মতো সেই স্টক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। এর সঙ্গেই সোরোসকে বলতে শোনা গিয়েছে, মোদী গোটা বিষয়টিতে নীরব ছিলেন। তবে তাঁকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে ও সংসদে জবাব দিতে হবে।এদিকে সোরোসের এই বক্তব্য়ের সঙ্গে ইদানিং কংগ্রেসের আওয়াজ অনেকটাই মিলে গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কংগ্রেসকে অনেকটা সোরোসের সুরে সুর মেলাতে দেখা যাচ্ছে। নাকি কংগ্রেসের সুরে সুর মেলাচ্ছেন সোরোস? এনিয়ে নানা চর্চা চলছে।তবে সূত্রের খবর, সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন বলে একটি সংস্থা আছে। তারা একাধিক দেশে ক্ষমতা বদলের ভূমিকাও নেয়। একাধিক রাজনৈতিক, লিগাল এনজিও, সিভিল রাইটস গ্রুপকে তারা নানা ভাবে সহায়তা করে বলেও খবর।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সোরোসের বক্তব্য দ্রুত ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। তার অভিপ্রায় নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। এদিকে গোটা ঘটনায় কংগ্রেসকেও খোঁচা দিচ্ছেন অনেকে। বলা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে হিন্ডেনবার্গকে দিয়ে মোদীকে অপদস্থ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এবার কার্যত সেই প্রসঙ্গে একেবারে সোরোসের প্রসঙ্গ তুলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল কংগ্রেস। ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থায় সোরোসের যে কোনও ভূমিকা নেই সেটাই বলা হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে সোরোসের যে কোনও সম্পর্ক নেই তা বোঝাতে মরিয়া কংগ্রেস নেতৃত্ব।