বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে ভারত বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বিশ্বাস বহু দেশের। এই আবহে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি সেদেশে চলতে থাকা যুদ্ধ বন্ধের জন্য ভারতের মধ্যস্থতা চেয়েছেন। সম্প্রতি জাপানে জি৭ বৈঠকে বিশেষ মন্ত্রিত হিসেবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই মুখোমুখি হন। এর আগে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গনাইজেশনের সম্মেলনে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যুদ্ধ নিয়ে দুই রাষ্ট্রপꦗ্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। সেই সময় মোদী বলেছিলেন, 'এটা যুদ্ধ করার যুগ নয়'। যাতে সহমত পোষণ করেছিলেন পুতিনও। তবে যুদ্ধ শেষ হয়নি। সংঘাত আরও বেড়েছে। এই আবহে যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ডিডি ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শংকর বলেন, 🦋'এই সংঘাতের সমাধান সূত্র বের হতে আরও বেশ কিছুদিন লাগবে। এটা সবে শুরু।'
জয়শংকর অকপটে মেনে নেন যে তিনি মনে করেন, এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনই শেষ হচ্ছে না। তবে তিনি বলেন, 'বর্তমানে দুই দেশের সংঘাতের মাঝে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমাধানসূত্র বের করার দিকে সবার নজর রয়েছে। সেগুলি হল - শস্য রফতানির জন্য নিরাপদ করিডর, পারমাণবিক ইস্যু এবং যুদ্ধে বন্দি হওয়া সৈনিকদের নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়া💖।' জয়শংকর বলেন, 'রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সবাই আমাদের সাহায্যপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে প্রতিটি সংঘাতেই এমন একটা সময় আসে, যখন দুই দেশই সমাধানসূত্র গ্রহণ করার জন্য রাজি থাকে। তার আগে কেউই পিছ পা হতে চায় না।'
জয়শংকর আরও বলেন, 'আমার মতে, সম্ভবত রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যকার সংঘাতের সমাধানসূত্র বের করার ক্ষেত্রে এখনও দেরি আছে।' উল্লেখ্য, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিকবার ফোনে পুতিন এবং জেলেনস্কির সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মো🌼দীর। এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে মুখোম♛ুখি বসেও কথা হয়েছে মোদীর। প্রতিবারই তিনি আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে গতবছর ১৬ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের সমরকন্দে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে পুতিনের মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী। এদিকে সম্প্রতি জাপানের হিরোশিমায় জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। এদিকে বারংবার এই যুদ্ধের বিরোধিতা করলেও রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একবারও ভোট দেয়নি ভারত। ইউক্রেন একাধিকবার ভারতকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। আমেরিকাও এই ক্ষেত্রে পরোক্ষ ভাবে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। তবে ভারত নিজেদের স্বাধীন বিদেশনীতি অনুযায়ী অনড় থেকেছে। তবে বিবৃতি প্রকাশ করে প্রতিবারই যুদ্ধের বিরোধিতা করে গিয়েছে ভারত। এই আবহে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ককে কাজি লাগিয়েই মোদী যাতে মধ্যস্থতা করেন, তা চাইছেন জেলেনস্কি। তবে জয়শংকরের কথায় স্পষ্ট, ভারত মনে করছে যে এই যুদ্ধ আরও বেশ কয়েকদিন চলতে থাকবে।