বাসিন্দারা পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, যে তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি এলাকায় বুল রেস করা হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার এনিয়ে আপত্তি তোলে জেলা প্রশাসন। তারপরই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। কৃষ্ণগিরি-হসুর -বেঙ্গালুরু হাইওয়ে অবরোধ করে শুরু হয় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। কার্যত দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। হাজার হাজার লোক পুলিশকে নিশানা করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। পুলিশ ও সরকারি গাড়ি নিশানা করে পাথর ছোঁড়া শুরু হয়।তামিলনাড়ু পুলিশ দাঙ্গা প্রতিরোধকারী গাড়িগুলি নিয়ে অশান্তি মোকাবিলার চেষ্টা করে। জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। দফায় দফায় উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। পুলিশ কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অশান্তির জেরে রাস্তায় প্রবল ট্রাফিক জ্যাম তৈরি হয়। প্রচুর গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের দাবি, ওই বুল রেসের কোনও অনুমতি ছিল না। সেকারণেই পুলিশ বাধা দিয়েছে। এব্যাপারে অনুমতি থাকলে রাস্তায় আগাম ব্যারিকেড করা হত।এক মহিলা পুলিশ সহ অন্তত ১৫জন পুলিশ কর্মী আধিকারিক আহত হয়েছেন। প্রায় ৬ ঘন্টার জন্য় এলাকা রণক্ষেত্রে চেহারা নেয়। এদিকে অশান্তির জেরে প্রায় ৫ কিমি এলাকা জুড়ে ট্রাফিক জ্যাম শুরু হয়ে যায়। কৃষ্ণগিরির পুলিশ সুপার সরোজ কুমার ঠাকুর বলেন, অন্তত ১০টি বাসে ভাঙচুর করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত ভিডিয়ো ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এর সঙ্গেই পুলিশ জানিয়েছে রাস্তায় বলদের দৌড়ের কোনও অনুমতি ছিল না। এসপি জানিয়েছেন, কেউ যাতে হতাহত না হন সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে প্রশাসনের তরফে যদি জাল্লিকাট্টু বা বুল রেসিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয় তবে তাতে পুলিশের কোনও আপত্তি নেই। তবে যারা এদিন বুল রেসিংয়ের চেষ্টা করছিল তাদের কাছে কোনো অনুমতি ছিল না।এদিকে তামিলনাড়ুর বিরোধী দলনেতা ই পালানিস্বামী জানিয়েছেন, গোয়েন্দা দফতর পুরো ব্যর্থ। তার জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ডিএমকে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি এনিয়ে সজাগ নজর রাখুন।তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই ডিএমকে দোষারোপ করে টুইট করেছেন। তিনি বলেন, ডিএমকে চাইছে তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যগুলিকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দিতে। আমরা এটা কিছুতেই মেনে নেব না।