বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে বিগত দিনে কম বিতর্ক হয়নি দেশে। রাজনৈতি মহলে ঝড় তুলেছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যার প্রেক্ষাপটে তৈরি এই সিনেমাটি। ১৯৯০-এর দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হৃদবিদারক কাহিনী তুলে ধরে বিরোধীদের নিশানায় এসেছিলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। এবার সেই ১৯৯০ দশকের বিভীষিকাময় স্মৃতি যেন ফিরে আসছে কাশ্মীরে বসাবসরত পণ্ডিতদের জীবনে। আর তার দায় ফারুক আবদুল্লা চাপালেন বিবেকের সিনেমার উপরই। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কাশ্মীর ফাইলসের মতো সিনেমা বন্ধ করা উচিত। ফারুকের যুক্তি এই সিনেমা দেশে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছিল। (আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ‘মাথা ব্যথা’র কারণ রাহুল! সোনিয়া ౠপুত্রের মন্তব্যে ‘কঠিন’ ২৪-এর পথ)
ফারুক সোমবার বলেন, ‘জম্মু ও ক꧃াশ্মীরের অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি উত্থাপন করতে আমরা রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করেছি। বৈঠকে আমি তাঁকে বলেছিলাম, 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমাটি দেশে বিদ্বেষ সৃষ্টি করেছে। এটা কি সম্ভব যে একজন মুসলমান একজন হিন্দুকে হত্যা করেছে, তার রক্ত দিয়ে ভাত মাখিয়ে তার স্ত্রীকেই তা খেতে বলেছে? এই ধরনের জিনিস (চলচ্চিত্র) বন্ধ করা উচিত। ঘৃণা ছড়ানো মিডিয়া বন্ধ করতে হবে। দেশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের পরিবেশ কাশ্মীরের মুসলিম যুবকদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দ🦄িচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বুদগামে রাহুল ভাট নামক এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে সরকারি অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এরপরই উপত্যকা জুড়ে পণ্ডিতরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। প্রতিবাদী পণ্ডি𒁃তদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়ে। এই আবহে ফারুক বলেন, ‘কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ- কী দরকার ছিল এসবের? তারা শুধু নিরাপত্তা চেয়েছিল। তারা পাথর ছোড়েনি। আজও পর্যন্ত আমি কখনও কোনও কাশ্মীরি পণ্ডিতকে পাথর ছুড়তে দেখিনি।’ এদিকে ফার൲ুক আবদুল্লা অভিযোগ করেন, তিনি যখন বুদগামে যেতে চান, তখন পুলিশ তাঁকে আটকায়। এর প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আমাদের সহানুভূতিশীল হতে না দেন, তাহলে কীভাবে এই সমাজ চলবে? কীভাবে আমরা একে অপরের কাছাকাছি আসব? এই ঘৃণার অবসান ঘটাতে হবে।’