প্রেমেཧর পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা। এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক মানতে পারেননি বাবা। আর তারই পরিণতিতে বাবাকে চিরদিনের মতো সরিয়ে দিল মেয়ে। ভয়াবহ এই খুনকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জামশেদপুরের কাছেই হরিওম নগর এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম কানহꦚাইয়া সিং। তিনি প্রাক্তন বিধায়ক অরবিন্দ সিংয়ের শ্যালক।
পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত কন্যা অপর্ণা সিং, তার প্রেমিক রাজবীর সিং, বন্দুকবাজ নিখিল গুপ্তা ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি ছোটারাই কিস্কুর নাবালক সন্তানকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত আরও দুজনে♈র খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
এসপি আনন্দ প্রকাশ জানিয়েছেন, গত ৫ বছর ধরে অপর্ণার সঙ্গে রাজবীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে এই সম্পর্ক কিছুতেই মানতেন না কানহাইয়া। মেয়েকে বার বার বকাবকি করতেন তিনি। কিন্তু অপর্ণা কিছুতেই রাজবীরের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করত♐ে চাননি। এরপর কানহাইয়া রাজবীরকে একটি মন্দিরে ডেকে বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখান।
এদিকে রাজবীরের পরিবারকেও মারধর করেছিলেন কানহাইয়া। আতঙ্কে তার পরিবার বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এমনকী অপর্ণার সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিয়েছিল রাজবীর। এরপর অপর্ণা একটি ভিডিয়ো করে রাজবীরকে পাঠায় যেখানে দেখা যায় অপর্ণা ইদুর মারা বিষ খেতে যাচ্ছে। এতে ভয় পেয়ে ফের অপর্ণার সঙ্গে কথা শুরু করে রাজবীর। এর꧃পর কানহাইয়া ফের ভয় দেখায় রাজবীরকে।
এরপর অপর্ণার পরামর্শে প্রথমে বন্ধু নিখিলকে সঙ্গে নিয়ে শোনপুরে গিয়ে কানহাইয়াক෴ে খুনের চেষ্টা করেছিল রাজবীর। কিন্তু ব্যর্থ হয়। এরপর অপর্ণাই হোয়াটস অ্যাপে বাবার লোকেশন জানিয়ে দেয়। সেই মতো রাজবীর নিখিল সহ দুজনকে পাঠিয়ে কানহাইয়াকে নিকেশ করে। এর বিনিময়ে ৫ হাজার টাকা নগদ, মদের বোতল আর অপর্ণার পাঠানো হিরের আংটি দিয়েছিল খুনীকে।