পরীক্ষা দেওয়াই না কি তাদের নেশা। এমনই দাবি করেছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (JEE Main) শী𒁃র্ষস্থান অধিকারী দুই যমজ ভাই নিশান্ত ও প্রণব আগরওয়াল। পরীক্ষায় নিশান্ত পেয়েছে ১০০ পার্সেন্টাইল এবং প্রণবের সংগ্রহ ৯৯.৯৩ পার্সেন্টাইল।
বছর সতেরোর দুই পড়ুয়াই জানিয়েছে, জয়েন্টের প্রস্তুতিতে প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা ꧙পড়াশোনার পিছনে খরচ করত। সেই সঙ্গে নিꦕজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে তারা সংশয় দূর করার পাশাপাশি পরস্পরকে অনুপ্রাণিত করত।
তবে একসঙ্গে প্রস্তুতি নিয়েও নিশান্তের চেয়ে পরীক্ষায় সামান্য পিছিয়ে পড়েছে প্রণব। এই কারণে আগাম🔥ী এপ্রিলে সে ফের জয়েন্টে বসার পরিকল্পনা করেছে। তার কথায়, ‘ভাই পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে দেখে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। ওর জন্য আনন্দ হচ্ছে কিন্তু আমি পরের বারও পরীক্ষা দিতে চাই যাতে নিজের নম্বরের কিছু উন্নতি হয়।’
জয়েন্টে ফের বসার জন্য প্রণবের যুক্তি তো রয়েছেই, এর ওপর নিশান্তও এপ্রিলে আবার জয়ཧেন্ট দেবে বলে জানিয়েছে। নিজের এই সিদ্ধান্তের সপক্ষে সে জানিয়েছে, পরীক্ষা দেওয়া তার নে♛শা।
আসলে এই দুই ভাই পরীক্ষা দিতে ভালোবাসে। দুজনেরই ইচ্ছে, আইআইটি-তে পড়ার। নিশান্ত অবশ্য এখনও পছন্দসই বিষয় 😼নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি, তবে প্রণবের সিদ্ধান্ত পাকা। সে চায় কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে। বিশেষ করে কোডিং সম্পর্কে তার আগ্রহ অসীম।
কীভাবে তারা জয়েন্টের জন্য তৈরি ಞহয়েছিল? নিশান্ত জানিয়েছেন, নিয়মিত রুটিনমাফিক পড়াশোনা করে সুফল পেয়েছে। প্রতিটি বিষয়েই রোজ পড়া তৈরি করার লক্ষ্য সে স্থির করেছিল বলে জানিয়েছে। বেশি সময় খরচ করেছে তুলনায় অপছন্দের বিষয়ের জন্য। তবে তার প্রধান নিশানায় ছিল জয়েন্ট অ্যাডভান্সড। জয়েন্ট মেইনস-এর জন্য মাত্র দুই মাস প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে সে জানিয়েছে।
পড়াশোনার অবসরে মগজ চাঙ্গা রাখতে সাঁতার ও ধাঁধার সমাধান করা তাকে সাহায্য করেছে বলে স্বীকার করেছে নিশান্ত। অন্য দিকে, প্রণব জানিয়েছে, মন ঠান্ডা রাখতে সে সংগীতের সাহায্য নিয়ꦐেছিল।