সদ্য ৬টি বিধানসভা উপনির্বাচনে ৬–০ ফল করে রাজ্য–রাজনীতিতে বিরোধীদের জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার বারবার বাংলায় বিজেপিকে পরাজিত করে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে বিরোধী 🐷দলগুলির অলিখিত মুখ হয়ে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জন্যই শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফলাফলের পরই বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীকে হারাতে হলে দেশব্যাপী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধান বিরোধী নেত্রী বা মোদীবিরোধী প্রধান মুখ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দল যদি নিজেদের ‘ইগো’ নিয়ে বসে থাকে, তাহলে আদতে কাজের কাজ কিছুই হবে না।’ তারপরই ঝাড়খণ্ড থেকে আমন্ত্রণ এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
তবে এই আমন্ত্রণ যে সে আমন্ত্রণ নয়। আর তিনদিনের মাথায় অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর দ্💮বিতীয়বারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন হেমন্ত সোরেন। তাই রাজভবনের ঘেরাটোপে তা না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে, হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সামনেই শপথগ্রহণ করতে চান তিনি। জেএমএম সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দু’টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি চূড়ান্ত হবে। আর সেটি আজ, সোমবার জানা যাবে। আর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকা এখন চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠকে বাদ সুখেন্দুশেখর রায়, আমন্ত্রণ পেলেন অনুব্রত
এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী রাজ্যে গুরুত্ব পাচ্ছেন। আর সেটা কংগ্রেসও করলে সার্বিক ইন্ডিয়া জোটের বৃত্ত পূর্ণ হবে। জেএমএম মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে বলেন, ‘মানুষের রায়ে আমরা আনন্দিত। খোলা জায়গাতেই তাই শপথগ্রহণ হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি গোহারা করা সম্ভব হয়েছে। বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড দুই মুখ্যমন্ত্꧑রীর সুসম্পর্ক সবাই জানেন। তাই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতাদিদির উপস্থিতি পৃথক মাত্রা যোগ করবে। তবে ইন্ডিয়া জোটের প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কাছে আমন্ত্রণ যাচ্ছে।’