এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইউক্রেনে গিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন বরিস জনসন। এবার সেই একই কাজ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিগত প্রায় একবছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এরই মাঝে ঘরোয়া রাজনীতিতেও চাপের মুখে আমেরিকা। গতবছর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় বিশ্বমঞ্চে 'মুখ পুড়েছে' আমেরিকার। এই সব বিষয়কে পিছনে ফেলে ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিতে এবং নিজের ভাবমূর্তি ঠিক করতে কিয়েভে পা রাখেন জো বাইডেন। তবে রাশিয়া সহ সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এই কাজটা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? (আরও পড়ুন: ডিএ ইস্যুতে এবার সরকারকেই চাপে ফেললেন ত🔯ৃণমূল নেতা, তুললেন বিস্ফোরক দাবি)
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার ভোর ৪টা নাগাদ সবার নজর এড়িয়ে আমেরিকার বায়ুসেনার একটি বোয়িং ৭৫৭ বিমানে (সি-৩২ নামেও পরিচিত এই বিমান) চড়ে ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা দেন বাইডেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী, চিকিৎসকদের একটি ছোট দল। তাছাড়া কয়েক জন উপদেষ্টা এবং দু’জন সাংবাদিকও সঙ্গে ছিলেন তাঁর। জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক সফরের সময় সাধারণত বাইডেন যেখান থেকে বিমানে ওঠেন, সেখানে ছিল না এই সি-৩২। তার বেশ কিছুটা দূরে এই বিমান রাখা ছিল। এই আবহে সংবাদমাধ্যমকে ফাঁকি দিয়ে বিমানে উঠতে সক্ষম হন বাইডে𒀰ন। উল্লেখ্য, সাধারণত বাইডেনের বিদেশ সফরকালে ১৩ জন সাংবাদিকের একটি দল সঙ্গে যান তাঁর। তবে একনজ ফটোগ্রাফার এবং একজন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়েই ইউক্রেনে গিয়েছিলেন বাইডেন।
বাইডেনের সঙ্গে ইউক্রে🍸ন সফরে থাকা সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকী জানিয়েছেন, এক ফটোগ্রাফারকে সঙ্গে নিয়ে আসতে বলে রাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস পরবর্তীতে তাদের ফোন বাজেয়াপ্ত করে। জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রেসিডেন্ট যত ক্ষণ না ফিরে আসছেন, তত ক্ষণ তাঁরা ফোন পাবেন না।
প্রথমে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ওয়াশিংটন থেকে জার্মানির রামস্টেইনে নিয়ে যায় বিমানটি। সেখান থেকে প্রসিডেন্টকে নিয়ে যাওয়া 🔥হয় পোল্যান্ডের রজেসজো-জাসিওনকা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে একটি একালো কাচে ঢাকা সএইভি গাড়িতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর ১০ ঘণ্টার সফর শেষে ইউক্𒀰রেনে পৌঁছন বাইডেন।