পোল্যান্ডে ‘রাশিয়ান মিসাইল’ বিস্ফোরণের পরই বিশ্ব নেতাদের সঙ💖্গে জরুরি বৈঠকে বসেন জো বাইডেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক ছাড়া বেশ কয়েকটি ন্যাটোভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন জো বাইডেন। এছাড়াও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, পোল্যান্ড একটি ন্যাটোভুক্ত দেশ। এই আবহে পোল্যান্ডের ওপর হামলা মানে গোটা ন্যাটোর ওপর হামলা।
এদিকে পোল্যান্ডের বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জো বাইডেন বলে, খুব সম্ভবত রাশিয়ার মিসাইলের কারণে পোল্যান্ডে বিস্ফোরণ ঘটেনি। যদিও পোল্যান্ডের দাবি যে মিসাইলে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেগুলি রাশিয়ায় তৈর𓆉ি হয়েছে। এই আবহে বাইডেন বলেন, ‘যে প্রাথমিক তথ্য সামনে এসেছে তাতে মনে হচ্ছে না যে এই বিস্ফোরণটা রাশিয়ান মিসাইলের কারণে ঘটেছে। তবে আমি এখনই এটা নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে চাই না। যতক্ষণ না আমরা এই বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন করছি এই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না। তবে এই মিসাইলটির গতিপথ দেখে মনে হচ্ছে না এটা রাশিয়া থেকে ছোড়া হয়েছে।’ এদিকে পোল🌼িশ রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশে রুশ মিসাইল বিস্ফোরণের জেরে দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ১৫ মাইল দূরে অবস্থিত একটি পোলিশ গ্রামে এই মিসাইল ‘হামলা’ হয়। আর এরপরই হাই অ্যালার্টে চলে যায় পোলিশ সেনা। উল্লেখ্য, পোল্যান্ড ন্যাটোভুক্ত একটি দেশ। এই আবহে পোল্যান্ডে হামলা হলে আমেরিকা সহ সব ন্যাটোভুক্ত দেশ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে ন্যটো প্রধান জেনস স্টোল্টেনবার্গ বলেন, ‘এই বিস্ফোরণ সম্পর্কে সকল তথ্য আগে জানতে হবে। আমি পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রেজ দুদার সঙ্গে কথা বলব।’ এদিকে এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে 🐈পেন্টাগন🔯।মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এই হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা খুবই উদ্বেগজনক। ওয়াশিংটন পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ প্রসঙ্গে আলোচলনা করছে।’