ফিজিক্সে (পদার্থবিদ্যায়) নোবেল পেলেন জন হোপফিল্ড এবং জিওফ্রে হিন্টন। তাঁদের আবার বৃহদাকারে ‘প্রতিবেশী’-ও বলা যেতে পারে। কারণ হোপফিল্ড আমেরিকার মানুষ। আর হিন্টন হলেন ব্রিটিশ-কানাডিয়ান। আপাতত টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন তিনি। আর আমেরিকান প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করেন হ💜োপফিল্ড। তাঁদের সেই জুটিই এবার ফিজিক্সে নোবেল পেলেন।নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা ফিজিক্সের মাধ্যমে এমন উপায় তৈরি করেছেন, তা বর্তমান যুগের শক্তিশালী মেশিন লার্নি🦩ংয়ের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
'আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক' ও নোবেল
বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সসের নোবেল কমিটির সদস্য ইলেন মুনস জানিয়েছেন, তাঁরা 'আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক' (মেশিন লার্নিংয়ের মডেল, যা মস্তিষ্কের স্নায়ুর মতো কাজ করে থাকে) তৈরি করেছেন। যা দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। ফেসিয়াল রেকগনিজেশন (মুখ চেনꦐা) বা ভাষা অনুবাদের মতো কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর সেই 'আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক' তৈরি করতে তাঁরা পরিসংখ্যানগত পদার্থবিদ্যার মৌলিক ধারণাকে কাজে লাগিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Brain AI Chip: বদলে যাবে♎ কম্পিউটারে কাজের পন্থা , বিপ্লব আনবে বেঙ্গালুরুর বিজ্ঞান🌜ীদের AI চিপ
হোপফিল্ডের ‘মেমোরি’ আবিষ্কার
নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, হোপফিল্ড এমন একধরনের মেমোরি তৈরি করেছেন, যা ছꦐবি এবং অন্যা🧜ন্য ডেটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। সেগুলিকে নতুনভাবে তৈরি করতেও পারবে।
গুগলের প্রাক্তনীর বাজিমাত
অন্যদিকে, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই) 'অগ্রদূত' হিন্টন আগে গুগলে কাজ করতেন। ২০২৩ সালে তিনি গুগল ছেড়ে দেন। তিনি এমন একটি উপায় আবিষ্কার করেছেন, যা নিজে-নিজেই কোনও ডে🐼টার মধ্যে বি🍃ভিন্ন জিনিসপত্র খুঁজে নেবে। আর কোনও ছবির মধ্যে কোনও নির্দিষ্ট বিষয়কে চিহ্নিত করতে পারবে।
আরও পড়ুন: AI-কে মানুষ ভাবা বন্ধ করুন, এটি একটি টুল! হঠাৎই বিস্ফোরক মাইক্♛রোসফ্টের সিইও
কম্পিউটার বনাম মানুষ
তিনি জানিয়েছেন, প্রযুক্তি যে 'অভিশাপ' হতে পারে, সেটা নিয়ে খোলা মনে কথা বলার জন্যই গুগল ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন যে শ🌳ীঘ্রই মানুষকে 'হারিয়ে দেবে' কম্পিউটার। এমনকী তিনি বা অন্য বিশেষজ্ঞরা যে সময়ের মধ্যে সেটা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছেন, তার আগেই সেটা বাস্তবে পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন: Los🐬t Indian Languages: বিলুপ্ত ভারতীয় ভাষাগুলো ফিরিয়ে আনবে গুগল! চলছে প্রস্তুতি
হিন্টনের উদ্বেগের সেই স্বর শোনা গিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সসের নোবেল কꦓমিটির সদস্য ইলেন গলাতেও। তিনি বলেন, ‘মেশিন লার্নিংয়ের অসংখ্য সুবিধা থাকলেও যে দ্রুতগতিতে সেটা এগিয়ে যাচ্ছে, তা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করে দিচ্ছে। সুরক্ষিত এবং নৈতিকভাবে যাতে এই নয়া প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা যায়, সেটার দায়িত্ব বর্তায় মানুষের উপরে, যাতে সেগুলিকে মানুষের সবথেকে ভালো কাজে ব্যবহার করা যায়।’