ব্রেন লাগিয়ে কাজ করবে কম্পিউটার। অসামান্য এআই ক্ষমতা নিয়ে বিপ্লব 🧔আসবে প⛎্রযুক্তি খাতে। দুর্ধর্ষ চিপ বানালেন বেঙ্গালুরুর বিজ্ঞানীরা। সবটা জানলে, বিশ্বাসই হবে না।
এই অনন্য ব্রেন চিপ তৈরি করেছেন বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এর (আইআইএসসি) বিজ্ঞানীরা। বিখ্যাত জার্নাল 'নেচার'-এ এই চিপ সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তা থেকেই জানা গিয়েছে যে চিপটি মস্তিষ্কের মতো কাজ করে। এই নতুন আবিষ্কার কৃ𒁏ত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। এই চিপটি ১৬,৫০০ উপায়ে ডেটা সংরক্ষণ করতে পারে। সংরক্ষণ করা ডেটাগুলো প্রসেসও করতে পারে।
আরও পড়ুন: (Mini Moon:𓆉 পৃথিবীর টানে ছুটে আসছে 'মিনি মুন'! দুই উপগ্রহ নিꦦয়ে ঘুরপাক খাবে পৃথিবী)
নতুন প্রযুক্তি বড় পরিবর্তন আনবে
এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি চিপটি নিউরোমরফিক কম্পিউটিং নামে একটি প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রযুক্তিটি বর্তমান কম্পিউটারের কাজ করার পদ্ধতিকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে পারে। আজকের কম্পিউটার শুধুমাত্র প্রোগ্রামিং অনুযায়ী কাজ করে। কিন্তু এই চিপটি অনেকটা মানুষের মস্তিষ্কের মতো, তার আশেপাশের পরিবেশ থেকে শিখতে পারে। সেই অনুযায়ী কাꦺজও করতে পারে।
কারা এই গবেষণা করেছেন
এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন শ্রীতোষ গোস্বামী এবং তাঁর দল নবকান্ত ভাট, দীপক শর্মা এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীরা। টেক্সাস অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরিক,ꦰ আয়ারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরাও এই প্ৰজেক্টে সাহায্য করেছেন।
আরও পড়ুন: (Incognito Mod🌜e চালু করল Swiggy! কোন কাজে লাগবে এই ফিচার)
এআই এর বড় সমস্যার সমাধান হবে
এই চিপ, ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনের মতো সাধারণ ডিভাইসগুলি🐬তে চ্যাট জিপিটির মতো বড় ভাষা মডেল (এলএলএম) চালানো সহজ করে দিতে পারে। এর দরুণ, এআই এর দু'টি প্রধান সমস্যা, হার্ডওয়্যারের অভাব এবং বিদ্যুৎ খরচ কমানো যেতে পারে। কারণ এই চিপটি খুব কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কাꦦজ করে। প্রফেসর শ্রীব্রত গোস্বামী এই চিপটি ডিজাইন করেছেন। তাঁর কথায়, গত কয়েক বছর ধরে নিউরোমরফিক কম্পিউটিং অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। সব বাধা পেরিয়ে, একটি প্রায় নিখুঁত সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
ব্রেন এআই চিপ প্রসঙ্গে, প্রফেসর নবকান্ত ভাট বলেছেন যে এই প্রযুক্তি ভারতের সেমি🍒কন্ডাক্টর মিশনের অধীনে একটি গেম-চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে আইআইএসসি টিম একটি নিউরোমরফিক চিপ তৈরিতে কাজ করছে। দেশকে প্রꦦযুক্তিগত নেতৃত্বের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এই চিপ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।