আজ ১৮ নভেম্বর (সোমবার) অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। উইকি বলছে এদিন ৪৪ বছরে পা দিলেন আবির। সে তো নাহয় হল জন্মদিনে হঠাৎ কেন কাঁপতে শুরু করলেন অভিনেতা! হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন আবিরে🧸র এমনই একটি ভিডিয়൩ো পোস্ট করেছেন প্রযোজক রানা সরকার। কী আবার হল?
নাহ, অন্য কোনও সিরিয়াস কারণ নয়। নেহাতই মজা করে ভিডিয়োটি শ্যুট করেছেন আবির। নিজের প্রশংসা শুনে মজা করেই কাঁপতে শুরু করেন তিনি। যেন বড় ꦬবেশি প্রশংসা হয়ে যাচ্ছে, সবকিছু কাঁপিয়ে দিচ্ছেন তিনি, এমন একটা ভাব…। আবিরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘অসম্ভব কাঁপছে ব্যাপারটা, ভীষণ কাঁপছে।’ ভিডিয়োটি পোস্ট করে ক্যাপশানে আবির লেখেন, ‘বাংলা ইন্ডাস্ট্রি কাঁপছে, Happy Birthd♓ay Abir Chatterjee’ (শুভ জন্মদিন আবির চট্টোধ্যায়)।
আরও পড়ুন-সিনেমার প্রশ্নে হোঁচট খেলেন রা📖জনীতিবিদ, তবে রাজনৈতিক প💞্রশ্নে ১০০য় ১০০ অজয়-অক্ষয়
আরও পড়ুন-বাংলাদওেশে আটকে রয়েছে 'বহুরূপী' ও 'পুষ্পা-২'র মুক্তি, ไকিন্তু কেন?
এদিকে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে উইনপ্রোডাকশনের ছবি 'বহুরূপী'। যেখানে অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবির। তাঁর বিপরীতি ছিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। ছবি ব্লকবাস্টার হয়েছে। গত বছর আবির-ঋতাভরী জুটির ছবি 'ফাটাফাটি'ও ব্লকবাস্টার ছিল। নিজের কেরিয়ারে এভাবে বহু সুপারহিট ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়। প্রযোজক রানা সরকারের মতে তাই তিনিই বাংলা ছবির আসল সুপারস্ট𝕴ার।
গত ১০ নভেম্বর আব༺িরকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে লম্বা একটা পোস্ট করেছিলেন রানা সরকার। সেই সঙ্গে নিজের পোস্টে তারকা সাংসদ দেবকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তিনি। রানা লেখেন, ‘আবির চ্য🐽াটার্জী সুপারস্টার। বাংলা সিনেমার শেষ সুপারস্টার বলে যাদের নিয়ে প্রচার সেটার কোন ভিত্তি নেই। শেষ ১৫ বছরের বক্সঅফিসের ধারাবাহিক ফলাফল তাই বলছে।’
রানা আরও লেখেন, ‘আবির বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সেই ব্যক্তি যাঁর অভিনীত দুটো সিনেমা একদিনে রিলিজ করেছে এবং বক্স অফিসে দুটো সিনেমা সর্বোচ্চ ব্যবসা করেছে। ক্রিসমাস ২০১৪এ আবির অভিনীত ‘ফেলুদা বাদশাহি আংটি’ ও ‘ব্যোমকেশ ফিরে এলো’ একত্রে ১১ কোটি টাকা ব্যবসা করেছিল। অনেকেই জানেনন না পুজো-২০২২ রিলিজ আবির অভিনীত কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন বক্সঅফিসে দেব অভিনীত প♍্রজাপতি সিনেমা (ক্রিসমাস-২০২২ রিলিজ) থেকে বেশি ব্যবসা করেছিল। ২০২৩ ও ২০২৪ দুর্গাপুজো রিলিজে আবির অভিনীত সিনেমা দেব অভিনীত সিনেমার থেকে বক্সঅফিসে বেশি ব্যবসা করেছে।’
প্রযোজকের কথায়, 'যতবার আবির ও দেব-এর সিনেমা একদিনে রিলিজ হয়েছে প্রতিবার আবিরের সিনেমা বক্সঅফিসে বেশি ব্যবসা করেছে। আবির অভিনীত সব সিনেমা হয়তো হিট হয়না, সেতো অন্য সুপারস্টারদের ও হয়না। আবির বোঝেনা সে বোঝেনা ছাড়া রিমেক সিনেমায় অভিনয় করেনি। তাই বাংলা অরিজিনাল কনটেন্টে আবির অনেক এগিয়ে । তবু বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আবির চ্যাটার্জীই সেই সুপারষ্টার যার সিনেমা লাভ করতে স্যাটেলাইট রাইট বিক্রির টাকার অঙ্ক কষতে হয়না, বক্সঅফিসেই প্রযোজক সিনেমা লাভের টাকা ত꧙ুলে নিতে পারে।
ইন্ডাস্ট্রির স্ট্রাগল টাইমে আবিরকে অনেক অপমান করা হয়েছে। অঞ্জন দত্ত আবিরকে ব্যোমকেশ চরিত্র থেকে বাদ দিয়েছে, সন্দীপ রায় ফেলুদা চরিত্র থেকে বাদ দিয়েছে। সৃজিত মুখার্জি এক ‘শাহজাহান রিজেন্সি’ ছাড়া কোন সিনেমাতে আবিরকে বড় রোল দেয়নি। কৌশিক গা꧃ঙ্গুলির ‘বিসর্জন’ বা সোনাদা সিরিজ সবসময় সুপারহিট। তবুও আবিরের বক্সঅফিসের সাফল্য আজ অন্য সুপারস্টারদের থেকে বেশি।'
এখানেই শেষ নয়, অভি꧒নেতার চরিত্রের প্রশংসা করে তিনি আরও লেখেন, ‘🍌এছাড়া ভদ্রতা, সৎ, চরিত্রবান ও ভালো মানুষ হিসেবে আবির এই ইন্ডাস্ট্রিতে সব মহলে সন্দেহাতীত ভাবে পরিচিত। মিডিয়া বন্ধুদের অনুরোধ এখন থেকে প্রতিটি প্রতিবেদনে সুপারস্টার আবির চ্যাটার্জী বলে উল্লেখ করবেন। আর সিনেমার জগতে শেষ বলে কিছু নেই, হতেই পারে কাল আবার একজন নতুন সুপারস্টার উঠে এলো। শিরায় শিরায় ভদ্র, বাঙালি সুপারস্টার আবিরদার ভক্ত।’