গতকালই সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের চার সদস্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বিচারপতি বিভি নাগরত্না জানিয়েছিলেন, নোট বাতিলের বিষℱয়ে সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি 'বেআইনি'। আর আজ আইনপ্রণেতাদের বাকস্বাধীনতা প্রসঙ্গে মামলার রায় প্রকাশের সময়ও নিজের ভিন্নমত ব্যক্ত করলেন সুপ্রিম কোর্টের এই বিচারপতি।
আজ বিচারপতি বিভি নাগারত্না একটি পৃথক রায়ে বলেছেন যে আদালত এই জাতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বাকস্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের উপর কোনও বৃহত্তর/অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে না। তাঁর কথায়, সংসদকে নাগরিক স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আইনপ্রণেতা বা সরকারি কর্তাদের বাকস্বাধীনতার ওপর অতিরিক্ত কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে কি না। তবে তাঁর কথায়, বাকস্বাধীনতা কোনও ভাবেই ঘৃণা ছড়ানো বক্তৃতায় পরিণত 𓆉হতে পারে না। এই আবহে বেঞ্চের বাকি সদস্যদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে তিনি বলেন, 'কোনও আইনপ্রণেতা তাঁর পদাধিকার বলে কিছু বলে থাকলে, তার জন্য সরকারকে দায়ী করা যায়। তবে যদি সেই মন্তব্য সরকারের অবস্থানের বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে সরকার তার জন্য দায়ী হবে না।'
বিচারপতি নাগারত্না বলেন, 'ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য সমাজকে অসম করে তোলে। এটি জনসাধারণের মৌলিক মূল্যবোধে আঘাত করে এবং বিভিন্ন পটভূমির নাগরিকদেরও আক্রমণ করে। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে এই ঘটনা ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদা বজায় রাখা এবং মহিলাদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা প্রত্যেক ভারতীয়ের কর্তব্য হওয়া উচিত।' তিনি বলেন যে সরকারি কর্মকর্তা এবং সেলিব্র🦋িটিরা তাঁদের বক্তব্যের মাধ্যমে জনসাধারণের ওপর প্রভাব ফেলতে পারেন। তাই তাঁদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে এবং বক্তৃতায় আরও সংযম ব্যবহার করতে হবে।
তবে আজ সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়ে জানিয়ে দিল যে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিধায়ক বা কোনও আইনপ্রণেতার বাকস্বাধীনতার ওপর অতিরিক্ত বিধি নিষেধ আরোপ করা যায় না। বিচারপতি এস আব্দুল✱ নাজির, এএস বোপান্না, বিআর গাভাই, ভি রামাসু🌼ব্রমানিয়ান এবং বিভি নাগারত্নার একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ বলে যে সরকারি কর্মকর্তাদের বাকস্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে তা সংবিধানের ১৯(২) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। আদালত বলেছে যে সরকারের সাথে যুক্ত মন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য সরকারকে দায়ী করা যায় না।