এবার সরকারি কর্মচারিদের উপর ফতোয়া জারি করল তালিবান। আফগান সরকারের কর্মচারিদের দিনে পাঁচবার মসজিদে আসতে হবে🔯। সেখানের প্রার্থনায় সামিল হতে হবে। আর এই ফতোয়া যদি না মানা হয় তাহলে কপালে জুটবে শাস্তি। এমনই ফতোয়া জারি করেছেন তালিবান সুপ্রিমো হিবাতুল্লা আখুন্ডজাদা। আর এই আদেশ কার্যকর করার জন্য কঠোর নীতি নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। ইসলাম ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ফতোয়া প্রকাশ্যে আসার পর সরকারি কর্মচারিরা বেশ বেকায়দায় পড়ে গিয়েছেন।
এদিকে ২০২১ সালে আফগানিস্তান তালিবানরা দখল করার পর থেকে নানা বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। তাতে সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। তার উপর এবার এই নয়া ফতোয়া সরকারি কর্🐲মচারিদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। নারী শিক্ষা এখানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আগেই। তার সঙ্গে মহিলাদের গান শোনার ক্ষেত্রেও ফতোয়া জারি করা হয়েছিল। এবার এই নির্দেশে সই করেছে তালিবান সরকার। যেখানে স্পষ্টভাষায় উল্লেখ রয়েছে, তালিবান সরকারের সমস্ত মন্ত্রক এবং দফতরের অফিসারদের নির্দিষ্ট সময়ে প্রার্থনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংসদে দাঁড়িয়ে ঝোড়ো ব্যাটিং করলেন বহরমপুরের সাংসদ, পাট চাষিদের সমস্যায় সরব প🏅াঠান
অন🤪্যদিকে কোনও কর্মচারি যদি প্রার্থনার সময় যোগ না দেন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া তাহলে তাঁদের প্রথমে সতর্ক করা হবে। তারপরও যদি একই পথে তাঁরা হাঁটেন তাহলে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে। নয়া ফরমানে এই কথাই বলেছে তালিবান সরকার। যদিও এই ফরমান নিয়ে তা൲লিবান সরকার সংবাদসংস্থা এএফপি’র কাছে মুখ খোলেননি। শুধু নিয়ম বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী একজন মুসলিমকে পাঁচবার মসজিদে অথবা নিজের মতো করে প্রার্থনায় যোগ দিতে হয়। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়ের নিরিখে তা করতে হয় বলে ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া এই ফতোয়ায় বলা নেই যে, যখন কাজের সময় নয় অর্থাৎ ছুটির দিন তখন কী করতে হবে! সপ্তাহের যে দিনগুলিতে অফিস খোলা থাকবে সে দিনগুলিতে পাঁচবার প্রার্থনায় যোগ দেওয়ার ফতোয়া মিলেছে।🅘 কিন্তু ছুটির দিন কী ൩করতে হবে সেটা উল্লেখ করা হয়নি। এই ফতোয়া নিয়ে আফগানিস্তান জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজধানী কাবুলে এই চর্চা চলছে অত্যন্ত গোপনে। কেউ এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। সরকারি কর্মচারিরা তো ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন। কারও সঙ্গে কোনও কথা রাস্তায় বলতে চাইছেন না।