ধীরে ধীরে তপ্ত হচ্ছিল পরিস্থিতি। এদিকে কানপুর দেহাতে তখন খোদ প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সফর চলছিল। ফলে নিরাপত্তা ঘ🐠িরে পুলিশ কোনও খামতি রাখতে চায়নি।অন্যদিকে, কানপুরের বেকনগঞ্জের কাছে যখন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তুঙ্গে উঠতে থাকে তখন।
রাস্তায় ধীরে ধীরে শতাধিক মানুষ নামতে থাকে, তখন মাত্র ৫ জন পুলিশ কর্মী ছিলেন সেখানে উপস্থিত। নিরাপত্তার দায়িত্বে সেই সময় ছ🦩িলেন বেকনগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মী মুস্তাক খান। আর ভিড়কে যখন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না, তখনই তিনি চিৎকারকে ভিড়কে সরে যেতে বলেন। আরও তপ্ত হয় পরিস্থিতি এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারাജ নেয়।
পরিস্থিতি যখন তপ্ত হচ্ছিল তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারজং থানার এসইপি মহম্মদ আকমল খান। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’ এর তথ্য অনুযায়ী, মহম্মদ আকমল খানের সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন মুস্তাক খানও। হাতের বাইরে পরিস্থিতি যেতে দেখে পুলিশ কর্মী মুস্তাক চিৎকার করে বলেন, 'রাস্তা খালি করুন.. নয়তো জিপ এগিয়ে যাবে!' এরপর জিপ এগোতে থাকে, মুহূর্তে ভিড় সরতে থাকে। পরবর্তীকালে পুলিশ কর্মী মুস্তাক খান বলেন, জিপ সেই সময় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ছা🥀ড়া রাস্তা ছিল না। কারণ ভিড় খুবই উগ্রতার চেহারা নিয়েছিল। এদিকে ততক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন এসিপি। অন্যদিকে এডিসিপি মুহূর্তে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যান। উগ্র ভিড়কে রুখতে শুরু হয় লাঠিচার্জ। এরপর দুপুরের পর থেকে যখন পাথর, ইট বর্ষণ শুরু হয়, তখন ময়দানে ফোর্স নিয়ে নামেন ডিসিপি ইস্ট প্রমোদ কুমার। ঘটনাস্থলে আসেন জয়েন্ট সিপি আনন্দ কুমার। গোটা পুলিশ ফোর্স তুমুল ইট বর্ষণের মাঝে ধীরে ধীরে পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে।
শুক্রবার কানপুরের হিংসার ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে যোগী প্রশাসন। যোগী প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই হিংসা ছড়ানোর দায়ে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় হাজার জন মানুষ। হিংসায় ষড়যন্ত্রকারীদের বাড়িতে বুলডোজার চালানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে যোগী প্রশাসন। এদিকে সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে কানপুর হিংসার নেপথ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার হাত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। প্রসঙ্গত, হজরত মহম্মদকে নিয়ে এক বিজেপি নেতার মন্তব্য প্💛রসঙ্গে কানপুরে প্রতিবাদ চলছিল। তা ঘিরেই যাবতীয় হি🔜ংসার সূত্রপাত হয়।