কর্ণাটকে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্♐ব তুঙ্গে। সাম্প্রতিককালে দলের দুই শীর্ষ স্থানীয় নেতা – বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমা🔯রের বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শক্তিশালী বিজেপিকে হারানোর সম্ভাবনা তাই কংগ্রেসের জন্য ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে এই রাজ্যে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে দলে যোগ দিচ্ছেন অনেক নতুন মুখ। বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়কদের কংগ্রেসে যোগদান অবশ্য দলের জন্য লাভের হচ্ছে না। উল্টে জেলা স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করে এই সব যোগদানে দলের অন্দরে ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে।
জনতা দলের (সেকুলার) বিধায়ক শ্রীনিবাস গৌড়া সম্প্রতি যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। এর আগে ১০ জুন রাজ্যসভা নির্বাচনে তিনি ‘ক্রস ভোট’ দিয়েছিলেন। তাছাড়া মুলবাগলের প্রাক্তন বিধায়ক কোথুর মঞ্জুনাথ এবং চিন্তামণির প্রাক্তন বিধায়ক এমসি সুধাকরও যোগ দেন কংগ্রেসে। এই যোগদানের জেরে কেএইচ মুনিয়াপ্পার মতো নেতাদের পালক ছাঁটা হয়েছে। এই আবহে সিদ্দারামাইয়ার প্রতি অনেকেই বিরক্ত। এতে দলের ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এক কংগ্রেস নেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘আস🎀ল✨ ইস্যু হল কে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন বা দল জিতলে কাকে গদিতে বসাবে। হাইকমান্ড দুই নেতাকেই ডেকে একটি ফর্মুলা নির্ধারণ করতে পারে। তবে এখনও সেরকম কিছু হয়নি।’
এদিকে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিরোধ মেটাতে বিবৃতি প্রকাশ করতে হচ্ছে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা কর্ণাটকের দায়িত্ব💖প্রাপ্ত নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাকে। গত ৩০ জুন এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ‘কেএইচ মুনিয়াপ্পা দলের বর্ষীয়ান নেতাদের একজন। কংগ্রেস দলের প্রতি গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। তাঁর অগাধ অভিজ্ঞতা। বিজেপিকে হারাতে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামতে আমরা আগের সব বিরোধ ভুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এদিকে জেলাভিত্তিক এই বিরোধের পাশাপাশি রাজ্য স্তরে বিধায়করা সিদ্দারামাইয়াকে সমর্থন করছেন। এতে ডিকে শিবকুমারের নির্দেশও অনেক সময় অমান্য করছেন বিধায়করা। এরই মাঝে সিদ্দারামাইয়ার ৭৫তম জন্মদিন পলক্ষে বিশাল আয়োজন ঘিরেও দলের বিরোধ সামনে এসেছে। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিকে শিবকুমার নিজে বলেছেন, ‘এই অনুষ্ঠান দলের সম্মতিতে হচ্ছে। রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা সবাই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেব।’