জঙ্গিদের জন্য অর্থ জোগাড় করার মামলায় ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ডের জন্য় আদালতে আবেদন করেছে এনআইএ। বর্তমানে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রয়েছেন। তবে এবার এনআইএ-এর ওই আবেদনের ভিত্তিত💎ে ইয়াসিন মালিকের কাছ থেকে জবাব চাইল দিল্লি হাই কোর্ট।
বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও বিচারপতি তালওয়ান্ত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ৯ অগস্ট ইয়াসিন মালিককে আদালতে পেশ করার জন্য় নির্দেশ দিয়েছেন। শুনানি চলাকালীন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা এনআইএর পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে ইয়াসিন মালিকের তুলনা করেন তিনি। তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, যদি ওসামা বিন লাদেন এই আদালতে থাকতেন তবে তার বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হত। তবে বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল জানিয়েছেন, লাদেনের সঙ্গে ইয়াসিনের তুলনার কোনও মানে হয় না। ক𒐪ারণ লাদেনের পৃথিবীর কোনও আদালতে শুনানি হয়নি। এরপর তুষার মেহেতা বলেন, আমার মনে হয় আমেরিকা ঠিক ছিল।.. তবে বিচারপতি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
এদিকে ২০২২ সালের ২৪ মে ট্রায়াল কোর্টে ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্ܫদেশ দেওয়া হয়। ইউপিএ আইনের একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
এর আগেও বিচারপতি ಞসলিসিটর জেনারেলের কাছে জানতে চেয়েছিলেন অর্ডার অফ চ🥀ার্জে কোথায় উল্লেখ করা হয়েছে যে ইয়াসিন মালিক সরকারি লোকজনের খুনের ঘটনার পেছনে জড়িত।
এদিকে সলিসিটর জেনারেল আদালতের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, মালিক বায়ুসেনার চার⛎ আধিকারিককে হত্যা করেছিলেন। ২৬-১১এর জঙ্গি হামলার পেছনেও তার হাত ছিল। ২০১৭ সালে কাশ্মীরꦰে অশান্তি ছড়ানো, জঙ্গি হানার ঘটনায় তার নাম জড়িয়েছিল।
দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার অভিযোগ ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে। তবে আদালত আগেই জানিয়েছিল এটা একেবারে বিরল থেকে বিরলতꦇম অপরাধের মধ্য়ে পড়ে না। যার জেরে তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায়।
ত༒বে দুটি অপরাধের ঘটনায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রথমত ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও জঙ্গি কার্যকলাপ করার জন্য় অর্থ জোগাড় করা।