মঞ্জিরী চিত্রে
বলা হচ্ছে মোটামুটি ১৭ টি দলের ৩২জন রাজনৈতিক নেতা হাজির ছিলেন বিরোধী জোটেরꦬ মিটিংয়ে। কিন্তু সেই মিটিংয়ে আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল থাকবেন কি না তা নিয়ে প্রথম থেকেই নানা জল্পনা ছিল। কারণ অর্ডিন্যান্স বিতর্ক নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের ঠান্ডা লড়াই চলছে। এদিন মিটিংয়ে আপ নেতা এনিয়ে প্রসঙ্গও তুলেছিলেন।
মিটিংয়ে থাকলেও যৌথ সাংবাদিক বৈঠকেও দেখা গেল না আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তবে এনিয়ে সাফাই দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নী🎶তীশ ꧒কুমার। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লি ফেরার তাড়া রয়েছে। সেকারণে ফিরে গিয়েছেন আপ নেতা।
নীতীশ কুমার বলেন, কেজরিওয়াল চলে গিয়েছেন কারণ তাঁকে দিল্লি ফিরতে হবে। তবে জল্পনা ছড়িয়েছিল যে অর্ডিন্যান্স ইস্যুতে তাদের সঙ্গে কংগ্রেসের মনোমালিন্য তুঙ্গে। সেকারণে তিনি হয়তো এই মিটিংয়ে আসবেন না। তবে এদিনꦦ আপ সুপ্রিমো মিটিংয়ে এসেছিলেন। কিন্তু আগেভাগেই ♐বেরিয়ে যান তিনি।
এই বিরোধী জোটের মিটিংয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লি🔥কার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির সিএম অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের সিএম হেমন্ত সোরেন, সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন♛ সিএম উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার,তামিলনাড়ুর সিএম এমকে স্ট্যালিন সহ দেশের বিরোধী মুখেরা হাজির ছিলেন।
প্রায় ঘণ্টা চারেক ধরে এই মিটিং চলে। নেতৃত্বরা জানিয়ে দিয়েছেন শিমলাতে জুলাই মাসে আগামী মিটিং হবে। তারপরই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জু𝓀ন খাড়গে জানিয়েছেন, আগামি মিটিংটা শিমলাতে হবে। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী দিনে জোটকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার চেষ্টা করা হবে।
কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জোটের প্রথম মিটিংয়েই খেলা ভাঙার খেলা। আপ নেতার সঙ্গে কংগ্রেসের ঠান্ডাযুদ্ধ চরমে। সেক্ষেত্রে পরের মিটিংয়ে তিনি থাকবেন কি না তা নিয়ে সংশয় জোরালো হয়েছে। সব মিলিয়ে জোটের প্রথম মিটিংয়েই তাল কা𝐆টল বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত দিল্লির অর্ডিন্যান্স ইস্যুতে কোন পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার। তার উপরই নির্ভর করছে এই জোটে আপ আদৌ থাকবে কি না। তবে সূত্রের খবর, এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে আপ নেতৃত্বকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কংগ্রেস নেতৃত্বকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেন𒊎 তিনি।