২০১৩ সালে লাহোরে ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিংকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আমির সরফরাজ তাম্বাকে ꦏরবিবার পাকিস্তানের একটি শহরে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা।
২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাম্বাকে লাহোরের ইসলা༒মপুরা এলাকায় গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তবেও কে বা কারা তাকে খুন করল সেটা জানা যায়নি।
তাম্বা ও মুদাসসরকে পাকিস্তানের একটি আদালত 🅠'প্রমাণের অভাবে' খালাস দেওয়ার ছয় বছ𒆙র পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটল।
পঞ্জাবের ভিখিউইন্ডের বাসিন্দা সরবজিৎ সিং অপ্রকৃতিস্থ অ✃বস্থায় ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে বোমা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যদিও ভারত সরকার বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার উপর এই ভয়াবহ অভিযোগ আনা হয়।
লাহোরের কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত কোট লাখপত কারাগারে বন্দি সিংকে ইট ও রড দিয়ে নৃশংসভাবে আক্রমণ করে সহবন্দিরা। নৃশংস হামলার পর প্রায় এক সপ্তাহ কোমায় থাকার পর ২০১৩ সালের ২ মে ভোরে লাহোরের জিন্নাহ হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
পাকিস্তানের জেলে সরবজিতের দুই দশকের দীর্ঘ সময়কালে, তার বোন দলবীর কৌর তার ভাইকে মুক্ত করার জন্য সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিনি সবসময় জোর দিয়ে বলতেন যে তার ভাই নির্দোষ এবং গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তিনি ভুল করে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। কৌরও তার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন।
দলবীর কৌর ২০২২ সালের ২৬ জুন মারা যান এবং ভিখিউইন্ডে তাকে দাহ করা হয়। এবার সরবজিতের সেই খুনীকে পাকিস্তানেই গুলি করে খুন করা হল। পাকিস্তান♑ের লাহোরে তাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে খবর। আমির সরফরাজ তাম্বা ছিল এই নৃশংস হত্যাক্যান্ডের অন্য়তম মাথা। তাকেই এবার খুন করা পাকিস্তানের মাটিতে।