মিঠি ইদের পর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল বকরি ইদ। ইসলামিক ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ মাস ধু আল-হিজ্জাহ-র দশম দিনে এই উৎসব পালিত হয়। বকরি ইদ আবার💜 ইদ-উল-আদাহ, ইদ কুরবান বা কুরবান বায়ারামি নামেও পরিচিত। ইদ-উল-ফিতর যেমন পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি ঘোষণা করে তেমনই বার্ষিক হজ যাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করে বকরি ইদ। চলতি বছর ভারতে ২১ জুলাই পಞালিত হবে বকরি ইদ।
বকরি ইদের দিন ও সময়
জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের মতে ১১ জুলাই জুল হিজ্জাহর চাঁদ দে💃খা গিয়েছিল। এ কারণে ২১ জুলাই বকরি ইদ পালিত হবে। যদিও সৌদি আরবে একদিন আগে অর্থাৎ ২ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ০ জুলাই পালিত হবে এই উৎসব।
ইমামের উপদেশেরᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ পর মসজিদে ইদ আল-আদাহের নামাজ পড়েন ইসলামধর্মাবলম্বীরা। সূর্যের জুহর (মধ্য দিবা নামাজের সময়)-এ প্রবেশের ঠিক আগে এই নামাজ পড়া হয়। নতুন জামাকাপ⛎ড়, খানাপিনার আনন্দে দিনটি উপভোগ করেন সকলে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, এদিন কুরবানি, দান-পুণ্যের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
বকরি ইদের ইতিহাস
একদা প্রফেট ইব্রাহিম ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণের জন্য নিজের ছেলে ইসমায়েলকে কুরবান করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এর পর নিজের ছেলেকে এই স্বপ্ন সম্পর্কে জানান। আল্লাহ কী ভাবে তাঁর কাছ থেকে বলি চাইছেন তা বোঝান ইসমায়েলকে। নিজের বাবার কথা শুনে তাঁকে আল্লাহের ইচ্ছেপূরণে অনুপ্রাণিত করে ইসমায়েল। কিন্তু সন্♈তান প্রেমের কারণে তিনি আল্লাহের ইচ্ছা উপেক্ষা করার অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু বেশিক্ষণ এমন করতে পারেন না। অবশেষে নিজের ছেলেকে বলি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। ইব্রাহিমের ভক্তি দেখে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন এবং গ্যাব্রিয়েল নামক দূতকে তাঁর কাছে পাঠান। গ্যাব্রিয়েলকে একটি ভেড়া দিয়েছিলেন আল্লাহ। এই গ্যাব্রিয়েল আবার জিব্রিল নামেও পরিচিত। গ্যাব্রিয়েল ইব্রাহিমকে জানান যে আল্লাহ তাঁর ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে ছেলের স্থানে ভেড়া কুরবানির জন্য পাঠিয়েছেন। তার পর থেকে ইদ-আল-আদা🐠হ পালিত হতে শুরু করে।