রেলের সুরক্ষ🧸া নিয়ে নানা সময়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। বালেশ্বরে করমণ্ডল দুর্ঘটনার পরে তা নিয়ে নতুন করে সংশয় দানা বেঁধে♑ছে। তবে এবার রাজ্যসভায় এনিয়ে লিখিত জবাব দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রীয় রেল সংরক্ষ কোষে ২০২৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১.০৮ ট্রিলিয়ন খরচ করা হয়েছিল।
রাজ্যসভায় লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭-১৮ সালে RRSK তৈরি হয়𝓰েছিল। পাঁচ বছরে ১ ট্রিলিয়ন খরচ করা হয়েছে। তার মধ্যে রেললাইনের বদল করা, ব্রিজ তৈরি করা, সিগন্যাল ব্যবস্থাকে উন্নত করা, রেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করা সহ নানা দিক থেকে কাজ করা হয়েছে। গ্রস বাজেটারি সাপোর্ট থেকে এই বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী আরও জানি♍য়েছেন, রেলওয়ে সেফটি ফান্ড ২০০১-০২ সালে তৈরি করা হয়েছিল। মূলত লেভেল ক্রশিং, রোড ওভার ব্রিজ, রোড আন্ডার ব্রিজ তৈরির ফান্ড তৈরির জন্য় এই ফান্ড তৈরি করা হয়েছিল। অন্যান্য সুরক্ষার ক্ষেত্রেও রেলের ফান্ড যাতে কাজে লাগে সেব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত পাঁত বছরে আরআরএসকে ও আরএসএফ রেলের সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজ করার ব্যাপারে বলা হয়েছিল। সেই মতো ফান্ড বরাদ্দ করা হয়। গ্রস বাজেটারি সাপোর্ট ছাড়াও ডিআরএফ ও ডিএফের ফান্ড থেকেও সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজ করা হয়। ২০১৪-১৫ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন𝔍্ত সুরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ১.৭৮ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৩-১৪ সালে সেফটি সংক্রান্ত ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭০,২৭৪ কোটি টাকা। এটার তুলনায় ২০১৪-১৫ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত সুরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে যে ব্যয় করা হয়েছিল তা প্রায় ২.৫ গুণ বেশি।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেফটি সংক্রান্ত ট্র্যাক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অনুসারে ল্যাপটপ ও꧙ কম্পিউটারও🐲 দেওয়া হয়েছে। রেলকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কম্প্রোটার ও অডিটর জেনারেলে অডিট রিপোর্ট ২০২২ Derail꧙ment in Indian Railways বলা হয়েছিল বেশ কিছু খরচ এমন খাতে করা হয়েছিল যেটা অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে না। সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্যাকশন টেকেন নোটে রেলমন্ত্রক তার জবাব দিয়েছে। এ𒊎ই যে খরচ সেগুলি করা হয়েছিল পলিসি সংক্রান্ত নথি ও টেকনিকাল রিপোর্ট অনুসারে।