দীর্ঘ অসুস্থতার জেরে তিনি বহু দিন দিল্লিতে মেয়ে মিসা ভারতীর বাড়িতে সুশ্রুষায় রয়েছেন বলে শোনা যায়। এছাড়াও পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শারীরিক দিক দিয়েও বেশ কয়েকদিন অসুস্থতার মধ🍸্যে ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। এদিকে, এরই মাঝে বিহারের হেভিওয়েট নেতা তথা সেরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ফের একবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক রয়েছে সামনেই। তার আগে রাজনীতিতে ফিরতে চেয়ে লালুর এই আগ্রহ প্রকাশ ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
বড় মেয়ে মিসা ভারতীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লালুপ্রসাদ যাদব বলেন, 'আমি ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে আগ্রহী। আমি লোকসভা ভোটে লড়ব আর সংসদেও ফিরব। আমার ভোটে লড়া নিয়ে আদালতের তরফে কিছু আইনি বিধি রয়েছে। একবার আইনি জটিলতা কাটলেই আমি♐ ফের নির্বাচনে লড়ব।' উল্লেখ্য আরএলডির এই বর্ষীয়ান নেতা দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি থেকে পটনা পৌঁছন।বুধবার রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। যেখানে সারা দেশ থেকে পার্টির ২৫০ জন প্রতিনিধি বৈঠকে থাকবেন। দলের ৭৬ জন ন্য🌞াশনাল এক্সিকিউটিভও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। মনে করা হচ্ছে, দল এই বৈঠক থেকে সদস্যপদ নিয়ে একাধিক বড় পদক্ষেপ নিতে পারে। দলের সদস্যসংখ্যা ১ কোটি করাই আপাতত লক্ষ্য আরজেডির। উল্লেখ্য, দলের জাতীয় প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর ছোট ছেলে তেজস্বীকে তুলে ধরা নিয়ে যে জল্পনা রয়েছে তাকেও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করে, জল্পনা কার্যত নস্যাৎ করেন এই বর্ষীয়ান বিহারী নেতা।
উল্লেখ্য, আগের মতো সংসদে যাওয়া এখন আর তাঁর হয়না। তবে সংসদের গতিবিধির ওপর তাঁর যে নজর রয়েছে তা জানাতে ভোলেনন🌄ি লালু প্রসাদ যাদব। তিনি বলেন, 'আমি সংসদের প্রতিটি বিষয়ে নজর রাখি। এখন সংসদে অনেক কম স্বাধীনতা রয়েছে।' উল্লেখ্য, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী সাংসদের সরব হওয়ার ঘটনা থেকে সাসপেনশনের ঘটনাকে এই বক্তব্যের দ্বারা পরোক্ষে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি লালু প্রসাদ যাদব। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে শেষবার সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নেন লালু প্রসাদ যাদব। তিনি সারান আসন থেকে জয় লাভ করেন। পরবর্তীকালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়ায়। মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। এর জেরে ২০১৩ সালে তিনি সাংসদ পদ হারান। একই সঙ্গে তাঁকে ভোটের লড়াই থেকেও