বেদান্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য অধিকৃত ৩,৫০০ একর জমি এবার জমির মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে চলেছে ওড়ি🧸শা সরকার। এই বিষয়ে বুধবারই ঘ🉐োষণা করেছে ওড়িশা সরকার। এর আগে ২০১০ সালে এই জমি মামলা নিয়ে ২০১০ সালে একটি রায় দিয়েছিল ওড়িশা হাইকোর্ট। সেই রায়ই বজায় ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই রায়ের পরই এই পদক্ষেপ করল ওড়িশা সরকার।
গত বছরই সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের দেওয়া রায় ধরে রেখে বার্তা দিয়েছে। সেই বার্তা অনুযায়ী, এই জমি অন্যায়ভাবে অধিগ্রহণ হয়। এর আগে, অনিল আগারওয়াল ফাউন্ডেশন এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য, জমি অধিগ্রহণের আর্জি জানায়। সেই ফাউন্ডেশন, কোম্পানি অ্যাক্ট ১৯৫৬ সালের নিয়ম অনুসারে একটি প্রাইভেট সংস্থা, পাবলিক সংস্থা নয়। আর তা নিয়েই কোর্ট ওই রায় দেয়। ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা 🌌মন্ত্রী সুরেশ পূজারী জানিয়েছেন, আগামী ১ কিম্বা ২ দিনের মধ্যে জমি ফেরানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে। ওড়িশা সরকারের দাবি, বেদান্ত এই জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে তিনবার নিজের পরিচিতি পাল্টেছে। পূজারী বলেন, এই জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া প্রতিটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে হবে। যে সংস্থাকে ঘিরে এই গোটা বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছে, সেখানে প্রথম সংস্থাটির নাম হিসাবে নিজেকে ‘স্টারলাইট ফাউন্ডেশন’ বলে দাবি করে, পরে নাম পাল্টে করে, বেদান্ত ফাউন্ডেশন, তারপর নাম পাল্টে হয় অনিল আগারওয়াল ফ✃াউন্ডেশন।
এই বিপুল পরিমাণ জমি ছাড়াও ওড়✨িশা সরকারের ৫০৯ একর জমিও অনিল আগরওয়াল ফাউন্ডেশনকে দেওয়া হয়। সেই জমিও ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাওয়া মালিকরা ক্ষতিপূরণ ফেরত দেবেন। পরবর্তীতে এ ধরনের মালিকদের জমি ফেরত দেওয়া হবে। রাজস্ব বিভাগ সেই অনুযায়ী রেকর্ড সংশোধন করবে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের নেতৃত্বাধীন ওড়িশা সরকারে থাকা পূর্ববর্তী বিজু জনতা দল (বিজেডি) সরকার ১৩ ডিসেম্বর, ২০০৬ এবং ২১ আগস্ট, ২০০৭ এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০,০০০ শিক্ষার্থীর প্রস্তাবিত ভোজনের কথা ছিল। তদনুসারে, রাজ্য সরকার ২২টি গ্রামে প্রায় ৩,৫০০ একর কৃষি ও বসতবাড়ির🦹 জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।