মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। তামিলনাড়ুতে দীপাবলি কাটিয়ে ৯ মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন গৃহবধূ। সেই সময় রাস্তায় পড়ে থাকা হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের🅘 তারের সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হল মা এবং শিশু কন্যার। মৃতদের নাম হল সৌন্দর্য কাদুগড়ি (২৩) এবং তাঁর মেয়ে সুভিক্ষা (৯ মাস)। বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। ওই মহিলা শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন বিদ্যুতের তারে পা পড়তেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কর্নাটকের বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ব্যাঙ্গালোর ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (বেসকম) বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। তার ভিত্তিতে সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: লরি ঠেলতে গিয়ে ট্রান্সফরমারে ধাক্কা,🌊 বিদ্যুৎপৃষ্ট হুগলির জুট মিলের ১৫ শ্রমিক
হোয়াইটফিল্ডের ডিসিপি শিবকুমার গুনারে জানান, রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তিনি বলেন, হোপ ফার্মের কাছে বেসকম বিভাগের বৈদ্যুতিক তার পড়েছিল। তাতে পা দিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়। এবিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। পরিবারের সদস্যরা এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ সংস্থার অবহেলাকে দায়ী করেছেন। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তামিলনাড়ুতে দীপাবলি উদযাপনের পর এখানে এসেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে বেসকমের অফিস থেকে মাত্র ১০০ মিটার দ♒ূরে।
সৌন্দর্যের স্বামী সন্তোষ কুমার জানান, বেঙ্গালুরুর মতো একটি শহর এবং যে এলাকায় প্রচুর সংখ্যক সফ্টওয়্যার কোম্পানি রয়েছে সেখানে ফুটপাতে এভাবে বৈদ্যুতিক তার পড়ে📖 থাকে তা তিনি ভাবতেই পারেননি। তিনি জানান, সকালের দিকে কুয়াশা থাকায় তিনি তারটি লক্ষ্য করেননি। ঘটনাস্থল থেকে সৌন্দর্যের মায়ের বাড়ি মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে ছিল। জানা গিয়েছে, ওই তারে ১১ কিলো ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল। তাতে পা দিতেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই সৌন্দর্যের শরীরে আগুন ধরে যায় এবং তিনি ও তাঁর মেয়ে মারা যান।