খাবারে স্বাদ পাচ্ছেন না বা গন্ধ পাচ্ছেন না? এবার থেকে তা আর খুব একটা হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। কারণ করোনাভাইরাসের উপসর্গের তালিকায় এই দুটি লক্ষণও যোগ করল কেন্দ্র।শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে 'ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল কোভিড-১৯' প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, করোনা রোগীদের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। বলা হয়েছে, ‘শ্বাসজনিত উপসর্গের আগে গন্ধ না পাওয়া বা স্বাদ হারিয়ে ফেলার খবরও মিলেছে।’সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, উপসর্গদুটি যে শুধুমাত্র কোভিডের, তা নয়। কারণ অনেকেই ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার সময় কোনও গন্ধ এবং খাবারে স্বাদ পান না। তবে তা করোনার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে এবং দ্রুত তা চিহ্নিত করা হবে, তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যাবে।গত রবিবার করোনা সংক্রান্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পিটিআইকে এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, কয়েকজন সদস্য গন্ধ না পাওয়া এবং বিস্বাদকে করোনার উপসর্গের মধ্য়ে রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তবে সেই বৈঠকে ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তারপর শনিবার সরকারিভাবে গন্ধ না পাওয়া এবং বিস্বাদকে করোনার উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।তবে শুধু ভারত নয়, স্বাদ বা গন্ধ পাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার বিষয়টিকে গত মাসের গোড়ার দিকেই করোনার উপসর্গের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল আমেরিকা জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।এদিকে ‘ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম (আইএইচআইপি) বা ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিলেন্স প্রোগ্রামের (আইডিএসপি) তথ্য উদ্ধৃত করে নয়া প্রোটোকলে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের ২৭ শতাংশ করোনা আক্রান্তের জ্বর, ২১ শতাংশের কাশি, ১০ শতাংশের গলা ব্যথা, আট শতাংশ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, সাত শতাংশের দুর্বলতা, তিন শতাংশের সর্দি এবং ২৪ শতাংশ রোগীর অন্যান্য উপসর্গ ধরা পড়েছে।