মহারাষ্ট্র এবার দ্বিতীয় করোনার ঢেউ দেখতে শুরু করেছে। যার জেরে যতরকম পরিকাঠামো রয়েছে তা দিয়ে করোনা পরীক্ষা থেকে শুরু করে আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এই কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। আর তাঁদের পরামর্শ, ২০–৩০ জনের কাছাকাছি আসা—পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের মধ্যে পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ করোনা সংক𒁏্রমণ উদ্বেগ বাড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে।
এই ꦉপরিস্থিতিতে সামাজিক জমায়েতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে। উদ্ধব ঠাকরে শাসিত রাজ্যে সিনেমা হল, হোটেল, রেস্তোরাঁয় ৫০ শতাংশের মতো জমায়েত বৈধ আপাতত। কোনও এলাকায় মাস্ক না পরে কেউ যাতায়াত করছে, দেখলেই তাঁকে রেস্তোরাঁ বা জনবহুল এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। যে সিনেমা হল, রেস্তোরাঁগুলি এই নিয়ম মানবে না তাদের সিনেমা হল বা রেস্তোরাঁ বন্ধ করা হবে।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শহর এবং গ্রামে কোথাও কোভিড–বিধি মানা হচ্ছে না। প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। এখন ২০২০ সালের আগস্ট–সেপ্টেম্বর মাসের মতো অবস্থা হয়ে রয়েছে। যার জন্য করোনা সংক্রমণ কমছে না। বরং চেপে রাখা হচ্ছে।’ এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকারকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। সেখানে বলা হয়েছে, রাতের কার্ফু, সাপ্তাহিক লকডাউন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বড় প্রভাব ফেলছে না। তাই কন্টেইনমেন্ট জোন পুনরায় কার্যকর করতে ব𒐪লা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই যে সমস্ত জায়গায় হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে সেখানে কর্তৃপক্ষকে আসা মানুষদের মাস্ক পরা নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এমনকী সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সমস্ত ধরনের জমায়েতের ওপর বিধি আরোপিত হয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রে ৫০ জনের বেশি প্রবেಞশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ১৭ মার্চ বৈঠকের আহ্বান করেছেন।