মহারাষ্ট্রে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫টি জাতি-উপজাতিকে ওবিসির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস (এনসিবিসি)। এনিয়ে আগেই এনসিবিসির কাছে তথ্য পাঠিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। তার ভিত্তিতে সম্প্রতি এনসিবিসি রিপোর্ট প্রকাশ করে এবিষয়েꦦ কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে রাজ্যে নির্বাচনের আগে সরকার তা বাস্তবায়ন করবে কি না?
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই সঙ্কটে꧟ এমভিএ শিবির, মুখ্যমন্ত্রী হতে চান, অকপট এনসিপি নেতা অজিত
যে জাতি ও উপজাতিগুলিকে তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে সেগুলি হল- লোধ লোধা লোধি, সূর্যবংশী গুজর, লেভে গুজর, রেভ গুজর, রেভা গুজর, ডাংরি, ভোয়ার, পাওয়ার, কাপেওয়ার, মুন্নার কাপেওয়ার, মুন্নার কাপু, তেলঙ্গা, তেলেঙ্গি, পেইন্টারেডি এবং বুকেকারি। এনসিবিসির চেয়ারম্যান হংসরাজ আহির বলেছেন, মহারাষ্ট্র সরকারের এই প্রস্তাবের ওপর কমিশন গত বছর থেকে কাজ করছিল। এই বিষয়ে কমিশন চার থেকে পাঁচটি বৈঠক করেছিল। এবিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের পরে এই জাতিগুলিকে কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান হংসরাজ আহির এবং কমিশনের সদস্য ভুবন ভূষণ কমল ২৬ জুলাই এব⛦ং ১৭ অক্টোবর মুম্বꦺাইয়ের সহ্যাদ্রি স্টেট গেস্ট হাউসে এবিষয়ে শুনানি করেছিলেন।
রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের মতে, সমস্ত সুপারিশ করা জাতি ইতিমধ্যেই রাজ্যের ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পাওয়ার, ভไোয়ার এবং পাওয়ার 🅷জাতিগুলি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, এই সম্প্রদায়গুলি আলাদাভাবে তালিকাভুক্ত করার দাবি করেছিল। যার ফলস্বরূপ কমিশন তাদের আলাদাভাবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে।
ভোয়ার, পাওয়ার এবং পাওয়ার সম্প্রদায়কে প্রধানত পূর্ব মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলে, বিশেষ করে ভান্ডারা এবং গোন্দিয়া জেলায় দেখা যায়। ১৯৯ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ৬ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে তারা প্রথম কেন্দ্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গুজর উপজাতি মূলত উত্তর মহারাষ্ট্রের নাসিক, জলগাঁও, ধুলে এবং নন্দুরবার জেলায় বেশি।
বর্তমানে, মহারাষ্ট্রের ২৬১টি জাতি কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রাজ্য সরকার এই জাতিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগত অনগ্রসরতার উপর ভিত্তি করে তথ্য জমা দেয়। কমিশন সেই তথ্য পরীক্ষা করে তারপর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠায়। এরপর তালিকায় এই জাতিগুলি অন্তর্ভুক্ত করার পরে কেন্দ্রীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেই, এই জাতিগুলি কেন্দ🌞্রীয় সরকারি চাকরি, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বৃত্তিতে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। উল্লেখ্য, এই ১৫ টি জাতি যদি ওবিসি কোটায় সংরক্ষণ পায়, তাহলে মহারাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচনে রাজ্য সরকার বড় সুবিধা পেতে পারে। কারণ রাজ্যে এই ১৫টি জাতির নাগরিকের জনসংখ্যা ১০ লাখ। তাই ১০ লাখ ভোট মহাজোটের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।